10 Years of Make In India: ২০১৪ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগটি শুরু হয়েছিল, যা আজ এক দশক পূর্ণ করেছে। এই দশকের দীর্ঘ যাত্রায় ভারত এক বিশ্বব্যাপী উৎপাদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হতে প্ররোচিত হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য ছিল দেশীয় উৎপাদনকে উত্সাহিত করা এবং বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা। আজকে ভারত তার উৎপাদন ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে, এবং আন্তর্জাতিক স্তরে নিজেদের স্থান প্রতিষ্ঠা করেছে।
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র সূচনা ও উদ্দেশ্য
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ মূলত একটি উচ্চাভিলাষী উদ্যোগ যা ভারতে উৎপাদন শিল্পকে প্রবল উত্সাহিত করার জন্য চালু করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ভারতীয়দের সম্মিলিত সংকল্পকে কাজে লাগিয়ে দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো এবং উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থানকে শক্তিশালী করা। ২৫টি প্রধান সেক্টর যেমন অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, টেক্সটাইল এবং প্রতিরক্ষা উত্পাদনের ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। এর পাশাপাশি, ভারতের অবকাঠামো উন্নতি এবং বিনিয়োগ সহজ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মোদীর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল উৎপাদনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ভারতকে বৈদেশিক বিনিয়োগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করা। এর ফলে, ভারতকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।
10 Years of Make In India
এফডিআই প্রবাহ ও উৎপাদন বৃদ্ধি
২০১৪ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর থেকে এফডিআই (বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ) প্রবাহে ১৯ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে, ভারতে বৈশ্বিক কোম্পানিগুলির বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২০ সালে চালু হওয়া উৎপাদন-যুক্ত প্রণোদনা (পি.এল.আই) স্কিমও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এই স্কিমের মাধ্যমে, ১.৩২ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ আকর্ষিত হয়েছে, যা ৮.৫ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। এটি ভারতে উৎপাদন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করেছে।
ভারতে মোবাইল ফোনের আমদানিতে প্রায় ৮৫ শতাংশ হ্রাস এসেছে, যা দেশীয় উৎপাদন শিল্পের সাফল্যের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামটি দেশীয় উৎপাদন শিল্পকে শুধুমাত্র উত্সাহিত করেনি, বরং এটি বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদেরও আকর্ষণ করেছে। ২০১৪ সাল থেকে, ভারতে বিভিন্ন শিল্প খাতে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক বহুজাতিক কোম্পানির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অ্যাপল, স্যামসাং, এবং বোয়িং-এর মতো বৈশ্বিক নির্মাতারা ভারতকে তাদের উৎপাদন ইউনিট স্থাপনের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে বিবেচনা করেছে।
স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ও উদ্ভাবন
10 Years of Make In India, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র এক দশকে স্টার্টআপ শিল্পও উল্লেখযোগ্যভাবে বিকশিত হয়েছে। ২০১৪ সালে যেখানে ভারতে মাত্র ৩৫০টি স্টার্টআপ ছিল, এখন সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১.৪৮ লক্ষে পৌঁছেছে। স্টার্টআপ ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের অধীনে নিবন্ধিত এই স্টার্টআপগুলি ভারতের উদ্ভাবনী শক্তিকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। নিবন্ধিত এমএসএমই-এর সংখ্যা এখন ৪.৯১ কোটির বেশি, যার মধ্যে ১.৮৫ কোটির বেশি মহিলা মালিকানাধীন এন্টারপ্রাইজ রয়েছে। এটি ভারতের নারী উদ্যোক্তা ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্তিশালীকরণ
গত এক দশকে ভারতের সামষ্টিক অর্থনৈতিক মৌলিক বিষয়গুলিকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। (10 Years of Make In India)’মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামটি ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির একটি। ২০টি নতুন শিল্প, স্মার্ট সিটি, এবং কমপ্লায়েন্স কমানোর মাধ্যমে ভারতের অর্থনীতিকে আরও স্থিতিশীল করা হয়েছে। এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে ভারত সরকার দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক পরিবেশের মধ্যে আরও সেতুবন্ধন করেছে।
ব্যবসা করার সহজতার উন্নতি
ভারতে ব্যবসা করার সহজতার উন্নতিতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। বিভিন্ন আইন এবং প্রবিধান সহজ করার মাধ্যমে ব্যবসায়িক পরিবেশকে আরও উন্মুক্ত করা হয়েছে। পণ্য ও পরিষেবা কর (GST), সহজতর দেউলিয়া আইন, এবং নতুন শ্রম কোডগুলির মতো সংস্কারগুলি ভারতে ব্যবসা শুরু করা এবং পরিচালনা করা অনেক সহজ করে তুলেছে। এর ফলে, ভারত বৈশ্বিক বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য হিসেবে উঠে এসেছে।
প্রতিরক্ষা ও প্রযুক্তি উৎপাদন
ভারত এখন প্রতিরক্ষা শিল্পেও একটি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আগে যেখানে ভারত কেবলমাত্র প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের ক্রেতা ছিল, এখন ভারত নিজেই উচ্চ প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করছে। এই পরিবর্তন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা ক্ষেত্রে একটি বড় সাফল্য এবং স্বনির্ভরতার প্রতীক।
এছাড়া, ভারত আধুনিক প্রযুক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন থেকে শুরু করে সবুজ শক্তি উৎপাদন, ভারত এখন ভবিষ্যতের প্রযুক্তির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে।
বৈশ্বিক মানচিত্রে ভারতের অবস্থান
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের সাফল্যের (10 Years of Make In India)ফলস্বরূপ, ভারত আজ বৈশ্বিক মানচিত্রে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে। এটি শুধুমাত্র উৎপাদন ক্ষমতার ক্ষেত্রেই নয়, বরং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ করার ক্ষেত্রেও ভারতের শক্তি প্রদর্শন করছে। ভারতের উৎপাদন খাত এখন কেবলমাত্র দেশীয় বাজারের উপর নির্ভরশীল নয়, বরং বৈশ্বিক বাজারেও নিজেদের প্রতিষ্ঠা করছে।
ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়া
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র এক দশক (10 Years of Make In India) পূর্ণ হওয়ার পর, ভারত এখন ভবিষ্যতের জন্য আরও প্রস্তুত। সেমিকন্ডাক্টর, সবুজ শক্তি এবং উচ্চ প্রযুক্তি উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভারতের যে অগ্রগতি হয়েছে, তা আগামী দিনের জন্য একটি সুদৃঢ় ভিত্তি তৈরি করছে। এছাড়া, ভারতে যে উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে, তা কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে, ভারত এখন ২০৪৭ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্য নিয়েছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামটি কেবলমাত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নয়, বরং ভারতের প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
উপসংহার
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামটি এক দশকে(10 Years of Make In India) ভারতের উৎপাদন খাতের একটি নতুন অধ্যায় লিখেছে। এটি কেবলমাত্র একটি উদ্যোগ নয়, বরং ভারতের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য। বৈশ্বিক বিনিয়োগ, উদ্ভাবন, এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে ভারতের যে সাফল্য এসেছে, তা এই প্রোগ্রামের মূলে রয়েছে। ভবিষ্যতে, ভারত আরও শক্তিশালী উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে, এবং বৈশ্বিক বাজারে আরও বড় ভূমিকা পালন করবে।
FAQ on ‘Make in India’ – A Decade of Progress
প্রশ্ন ১: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামটি কবে চালু হয়েছিল?
উত্তর: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামটি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্তৃক চালু করা হয়েছিল।
প্রশ্ন ২: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য কী ছিল?
উত্তর: এই প্রোগ্রামের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে একটি বিশ্বব্যাপী উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করা, দেশীয় উৎপাদনকে উত্সাহিত করা এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করা।
প্রশ্ন ৩: এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে কতগুলি সেক্টরকে উন্নয়নের লক্ষ্য করা হয়েছিল?
উত্তর: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামটি অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, টেক্সটাইল এবং প্রতিরক্ষা সহ মোট ২৫টি সেক্টরের উন্নয়নের লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
প্রশ্ন ৪: গত দশকে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের প্রধান সাফল্য কী কী ছিল?
উত্তর: গত দশকে এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভারতে উল্লেখযোগ্য এফডিআই প্রবাহ হয়েছে, বিভিন্ন সেক্টরে উদ্ভাবন ও উৎপাদনে বৃদ্ধি ঘটেছে এবং দেশ স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে। মোবাইল ফোন আমদানি ৮৫% হ্রাস পেয়েছে, এবং বহু মানুষকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ৫: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামটি কোন প্রণোদনা বা স্কিমের মাধ্যমে সমর্থন পেয়েছে?
উত্তর: ২০২০ সালে চালু হওয়া প্রোডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ (PLI) স্কিম এই প্রোগ্রামটিকে সমর্থন করেছে, যা ১.৩২ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে এবং ৮.৫ লক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
প্রশ্ন ৬: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের কারণে ভারতের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমে কী পরিবর্তন এসেছে?
উত্তর: ২০১৪ সালে যেখানে স্টার্টআপ সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৫০, বর্তমানে সেটি বেড়ে ১.৪৮ লক্ষ হয়েছে। এর ফলে স্টার্টআপ ইন্ডিয়া প্রোগ্রামের অধীনে ৪.৯১ কোটি নিবন্ধিত স্টার্টআপ গঠিত হয়েছে।
প্রশ্ন ৭: ভারত কীভাবে প্রতিরক্ষা সেক্টরে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেছে?
উত্তর: প্রতিরক্ষা সেক্টরে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের মাধ্যমে ভারত নিজেই উচ্চ-প্রযুক্তি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে শুরু করেছে, যা দেশকে বিদেশি সামরিক আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা থেকে মুক্ত করেছে।
প্রশ্ন ৮: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগটি কোন নতুন প্রযুক্তি বা ক্ষেত্রের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে?
উত্তর: এই উদ্যোগটি ভবিষ্যতের প্রযুক্তি, যেমন সেমিকন্ডাক্টর, চিপস, এবং সবুজ শক্তির মতো উচ্চ-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
প্রশ্ন ৯: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের অধীনে মোবাইল ফোন উৎপাদনে কী ধরনের পরিবর্তন এসেছে?
উত্তর: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অধীনে মোবাইল ফোন আমদানি প্রায় ৮৫% কমে গেছে, এবং দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদনে দ্রুত বৃদ্ধি হয়েছে।
প্রশ্ন ১০: গত দশকে ভারত কীভাবে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পেরেছে?
উত্তর: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের মাধ্যমে ভারত বিশ্বব্যাপী ব্যবসা করার সহজতর পরিবেশ তৈরি করেছে, যা বিভিন্ন দেশের কোম্পানিকে, যেমন অ্যাপল, স্যামসাং, এবং বোয়িং-এর মতো বড় কোম্পানিকে ভারতে বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছে।
প্রশ্ন ১১: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা কী?
উত্তর: ভবিষ্যতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামটি উচ্চ প্রযুক্তির উৎপাদন, সেমিকন্ডাক্টর, সবুজ শক্তি এবং উদ্ভাবনের উপর আরও বেশি মনোযোগ দেবে, যা ভারতকে আরও শক্তিশালী বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করবে।
প্রশ্ন ১২: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থানে কী ধরনের উন্নতি হয়েছে?
উত্তর: গত এক দশকে এই উদ্যোগের মাধ্যমে ৮.৫ লক্ষেরও বেশি মানুষকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ১৩: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রামের অন্যতম চ্যালেঞ্জ কী ছিল?
উত্তর: এই প্রোগ্রামের অন্যতম চ্যালেঞ্জ ছিল ভূমি অধিগ্রহণে ধীরগতি এবং ব্যবসা করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক বাধা, যা এখনও সম্পূর্ণরূপে সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
প্রশ্ন ১৪: কোন সেক্টরগুলি ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে?
উত্তর: অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক্স, প্রতিরক্ষা এবং টেক্সটাইল সেক্টরগুলি এই উদ্যোগের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রশ্ন ১৫: ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রোগ্রাম কিভাবে ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে?
উত্তর: এই প্রোগ্রামটি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এবং দেশীয় উৎপাদনে বৃদ্ধি ঘটিয়ে ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে।
সাম্প্রতিক আরো খবর, চাকরি এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য আমাদের WhatsApp চ্যানেল অনুসরণ করুন
Discover more from Infodata News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.