Kali Puja 2024

Kali Puja 2024:কালী পূজা হিন্দু ধর্মের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব এবং শক্তির দেবী কালীকে উৎসর্গ করা হয়েছে। ভারতবর্ষে বিশেষ করে বাংলার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে কালী পূজা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। কালী দেবীর উপাসনা হাজার বছরের পুরনো এবং সময়ের সাথে সাথে এর আচার-অনুষ্ঠান ও জনপ্রিয়তা পরিবর্তিত হয়েছে। এই নিবন্ধে আমরা কালী পূজার ইতিহাস, প্রাচীনকাল থেকে আজকের দিন পর্যন্ত এর বিবর্তন, এবং বাংলার সমাজ ও সংস্কৃতিতে এর প্রভাব সম্পর্কে বিশদে জানবো।

Table of Contents

Kali Puja 2024:কালী পূজার ইতিহাস:

কালী দেবীর উপাসনার শিকড় গভীর প্রাচীনকালে প্রতিষ্ঠিত। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, কালী দেবী হলেন মহাশক্তি এবং সময় ও মৃত্যুর চূড়ান্ত প্রতীক। তিনি শিবের স্ত্রী এবং শিবের শক্তির রূপ হিসেবে পরিচিত। কাল বা সময়ের সাথে দেবী কালীর সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ, কারণ তিনি সময়ের ধ্বংসাত্মক দিককে নির্দেশ করেন। পুরাণ অনুসারে, দেবী কালী বিশ্বে অশুভ শক্তির বিনাশ করতে আবির্ভূত হন এবং শিবের শক্তির প্রতীক হিসেবে তাকে পূজা করা হয়।

কালী দেবীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় মার্কণ্ডেয় পুরাণের দেবী মহাত্ম্য অংশে। এখানে তাঁকে দেবী দুর্গার ভয়ঙ্কর রূপ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। দেবী দুর্গার ক্রোধের ফলে কালী আবির্ভূত হন এবং রক্তপিপাসু অসুরদের বিনাশ করেন। কালী দেবীর মুখ, লম্বা জিভ, উগ্র চেহারা এবং রক্তের তৃষ্ণা হিন্দু ধর্মে তাঁর ভয়ঙ্কর রূপের প্রতীক। তিনি ধ্বংসের মাধ্যমে সৃষ্টির পথ প্রসারিত করেন এবং এই কারণে তাঁকে শক্তির চূড়ান্ত প্রতীক হিসেবে মানা হয়।

মধ্যযুগে কালী পূজার উত্থান

মধ্যযুগে কালী পূজা বিশেষত বাংলার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেতে শুরু করে। এই সময়ে, বাংলায় শাক্ত উপাসনা প্রচলিত ছিল এবং শক্তির দেবী হিসেবে কালী পূজার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। মধ্যযুগীয় বাংলার রাজারা এবং সমাজের উচ্চস্তরের মানুষরা কালী পূজার প্রচলন বাড়াতে সাহায্য করেন। বিশেষ করে ১৬শ ও ১৭শ শতাব্দীতে কালী পূজা বাংলার রাজবাড়ি ও ধনী পরিবারগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তা লাভ করে।

এ সময়ে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে কালী মন্দির গড়ে উঠতে থাকে, যেমন কালীঘাট মন্দির এবং দক্ষিণেশ্বর মন্দির। কলকাতার কালীঘাট মন্দির অন্যতম প্রাচীন এবং বিখ্যাত কালী মন্দিরগুলোর একটি, যেখানে দেবী কালীর পূজা করা হয়। এই মন্দিরগুলি কালী পূজার ঐতিহ্য ও প্রভাবকে আরো প্রসারিত করে।

কালী পূজার আধুনিক ইতিহাস: নবকৃষ্ণ দেব ও শোভাবাজার রাজবাড়ি

কালী পূজার আধুনিক প্রচলন অনেকাংশে প্রভাবিত হয়েছিল নবকৃষ্ণ দেবের মাধ্যমে। ১৭৫৭ সালে প্লাসির যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি নবাব সিরাজউদ্দৌলার উপর বিজয় লাভ করে। এই বিজয় উদযাপন করতে কলকাতার শোভাবাজার রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা নবকৃষ্ণ দেব এক বিশাল আয়োজনের মাধ্যমে কালী পূজা শুরু করেন। এটি ছিল প্রথম বড় আকারের কালী পূজা, যা ব্রিটিশদের সঙ্গেও একটি রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রতীক ছিল। নবকৃষ্ণ দেব কালী পূজার মাধ্যমে বাংলার সমাজে এক গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক অধ্যায়ের সূচনা করেন।

নবকৃষ্ণ দেবের প্রবর্তিত এই কালী পূজা ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং বাংলার উচ্চবিত্ত ও সাধারণ মানুষদের মধ্যে দ্রুত প্রসার লাভ করে। এরপর থেকে কালী পূজা কলকাতা এবং অন্যান্য শহরে এক বড় উৎসবে পরিণত হয়। বিশেষত, কালীঘাট মন্দিরদক্ষিণেশ্বর মন্দিরে কালী পূজা সবচেয়ে জনপ্রিয় আকারে উদযাপিত হতে থাকে।

কালী পূজা ও রামকৃষ্ণ পরমহংসের অবদান

১৯শ শতাব্দীতে কালী পূজার জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পায়, বিশেষ করে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের মাধ্যমে। রামকৃষ্ণ ছিলেন দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দিরের পুরোহিত এবং তিনি দেবী কালীর একান্ত ভক্ত ছিলেন। তাঁর জীবন ও দর্শনের মূলভিত্তি ছিল কালী পূজা। তিনি দেবী কালীর সঙ্গে একটি গভীর আধ্যাত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন এবং তাঁর উপাসনার মাধ্যমে কালী পূজা নতুনভাবে আলোচিত হয়।

রামকৃষ্ণ পরমহংসের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর আদর্শ এবং কালী পূজার গুরুত্বকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেন। এর ফলে কালী পূজা শুধু বাংলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। রামকৃষ্ণের সময় থেকে কালী পূজার আচার-অনুষ্ঠান, ভক্তি, এবং সামাজিক গুরুত্ব আরও গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

আধুনিক যুগে কালী পূজা

আজকের দিনে কালী পূজা বাংলার অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়। কলকাতা শহরে কালী পূজা দীপাবলির সঙ্গে মিলিত হয়ে এক বিশাল আকার ধারণ করে। হাজার হাজার পূজা মণ্ডপে দেবী কালীর পূজা করা হয়, এবং কোটি কোটি ভক্ত পূজার অংশগ্রহণ করেন। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, ওড়িশা, আসাম, এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলেও কালী পূজা মহাসমারোহে পালিত হয়।

আধুনিক সময়ে কালী পূজা শুধুমাত্র ধর্মীয় আচার নয়, বরং সাংস্কৃতিক ও সামাজিক জীবনেরও এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কালী পূজার মাধ্যমে সমাজে একতা এবং শান্তির বার্তা পৌঁছে দেয়। এছাড়াও, পূজার সময়ে বিভিন্ন সঙ্গীত, নৃত্য এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়, যা এই উৎসবকে আরও মহিমাময় করে তোলে।

কালী পূজার প্রভাব ও গুরুত্ব

কালী পূজার প্রভাব বাংলা সমাজ ও সংস্কৃতির উপর গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত। দেবী কালী হিন্দু ধর্মে শক্তি, সময় এবং মৃত্যু প্রতীক, এবং তাঁর উপাসনার মাধ্যমে ভক্তরা জীবনের সকল অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য প্রার্থনা করেন। কালী পূজা কেবলমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি সমাজের মধ্যে এক ধরণের শক্তির সংহতি সৃষ্টি করে।

আজকের দিনে কালী পূজার মাধ্যমে মানুষ জাতি, ধর্ম, বর্ণের উর্ধ্বে গিয়ে একত্রিত হন এবং দেবী কালীর আশীর্বাদ গ্রহণ করেন।

কালী পূজা ,তারিখ,অমাবস্যা তিথি,শুভ মুহূর্ত

কালীপুজোর তারিখ ২০২৪

(Kali Puja 2024) ২০২৪ সালে কালীপুজো হবে ৩১ অক্টোবর পালিত হবে।  এটি অমাবস্যা তিথিতে উদযাপিত হবে, যা দেবী কালীর উপাসনার জন্য সবচেয়ে শুভ সময়। বিভিন্ন মত অনুযায়ী অমাবস্যা তিথির শুরু ও শেষের সময়ের সামান্য ভিন্নতা থাকতে পারে, তবে পূজার শুভ মুহূর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ অক্টোবর রাত ১১টা ৪৮ মিনিট থেকে ১ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে দেবী কালীর পূজা করা হলে ভক্তরা বিশেষ আশীর্বাদ লাভ করতে পারেন।

অমাবস্যা তিথি: ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর

কালীপুজো সাধারণত অমাবস্যা তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। (Kali Puja 2024) ২০২৪ সালে অমাবস্যা তিথি দুই দিনের জন্য থাকবে। সঠিক সময় নিম্নরূপ:

তিথি তারিখ ও সময়
অমাবস্যা তিথি শুরু ৩১ অক্টোবর, দুপুর ৩টা ৭ মিনিট ৪২ সেকেন্ড
অমাবস্যা তিথি শেষ ১ নভেম্বর, সন্ধ্যা ৫টা ৮ মিনিট ৭ সেকেন্ড

এটি হল অমাবস্যার মূল সময়, যা ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর শুরু হয়ে ১ নভেম্বর (Kali Puja 2024) সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। তবে কিছু ভিন্নমত রয়েছে যেখানে অমাবস্যার সময় একটু আলাদা হতে পারে।

ভিন্নমত অনুযায়ী অমাবস্যা তিথি

(Kali Puja 2024) কিছু পঞ্জিকা এবং জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, অমাবস্যার সময়ের ক্ষেত্রে একটু ভিন্নতা দেখা যেতে পারে। সেই অনুযায়ী অমাবস্যা তিথি শুরু ও শেষের সময় হল:

তিথি (ভিন্নমত) তারিখ ও সময়
অমাবস্যা তিথি শুরু ৩১ অক্টোবর, দুপুর ৩টা ৫২ মিনিট
অমাবস্যা তিথি শেষ ১ নভেম্বর, দুপুর ১২টা ৪৮ মিনিট

এই ভিন্ন মত অনুযায়ী অমাবস্যা তিথি একটু পরে শুরু হয় এবং আগেই শেষ হয়ে যায়। ভক্তরা এই সময়টি মাথায় রেখে তাঁদের পূজার আয়োজন করতে পারেন (Kali Puja 2024)।

২০২৪ কালীপুজোর শুভ মুহূর্ত

কালীপুজোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল শুভ মুহূর্তে দেবীর আরাধনা করা। (Kali Puja 2024) ২০২৪ সালের কালীপুজোর শুভ মুহূর্ত বা পূজার সময়কাল হল:

শুভ মুহূর্ত তারিখ ও সময়
কালীপুজোর শুভ মুহূর্ত শুরু ৩১ অক্টোবর, রাত ১১টা ৪৮ মিনিট
কালীপুজোর শুভ মুহূর্ত শেষ ১ নভেম্বর, দুপুর ১২টা ৪৮ মিনিট

এই সময়কালটি দেবী কালীর পূজার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এবং ভক্তরা এই মুহূর্তে দেবীর আরাধনা করে বিশেষ আশীর্বাদ লাভের আশা করেন।

 দীপাবলি উৎসব ২০২৪ : ঐতিহ্য ও আচার

ভারতের অন্যতম প্রধান উৎসব দীপাবলি, যা দেশজুড়ে পাঁচ দিন ধরে পালিত হয়। প্রতিটি দিনই আলাদা আচার ও রীতির মাধ্যমে উদযাপন করা হয়, যা ভক্তদের মনে আনন্দ ও পবিত্রতা নিয়ে আসে। এই উৎসবের বিশেষত্ব হলো বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের সংমিশ্রণ, যা দীপাবলিকে আরো অনন্য করে তোলে।

তারিখ দিন উৎসব
২৯ অক্টোবর, ২০২৪ মঙ্গলবার ধনতেরস
৩০ অক্টোবর, ২০২৪ বুধবার ভূতচতুর্দশী
৩১ অক্টোবর, ২০২৪ বৃহস্পতিবার কালীপুজো
১ নভেম্বর, ২০২৪ শুক্রবার দীপাবলি
২ নভেম্বর, ২০২৪ শনিবার গোবর্ধন পুজো
৩ নভেম্বর, ২০২৪ রবিবার ভাইফোঁটা

প্রথম দিন: ধনতেরস বা ধনদা ত্রয়োদশী

দীপাবলির উৎসবের সূচনা হয় কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে। এই দিনটিকে ধনতেরস বা ধনদা ত্রয়োদশী বলা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত শুভ। এই দিনে সোনা, রূপো, বাসন, বা ঝাড়ু কেনা অত্যন্ত শুভ মনে করা হয়, যা ধন ও সমৃদ্ধির প্রতীক। ধনতেরসের দিনে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়, যিনি ধন-সম্পদের দেবী। ব্যবসায়ীরা এই দিনে নতুন খাতা শুরু করে এবং তাঁদের ব্যবসার সফলতার জন্য প্রার্থনা করে।

দ্বিতীয় দিন: ভূত চতুর্দশী

ধনতেরসের পরের দিন পালিত হয় ভূত চতুর্দশী। এই দিনটিতে বিশেষত বাঙালিদের মধ্যে কিছু বিশেষ আচার প্রচলিত রয়েছে। ভক্তরা ১৪টি শাক খেয়ে নিজেদের শুদ্ধ করেন এবং ১৪টি প্রদীপ জ্বালিয়ে পূর্বপুরুষদের স্মরণ করেন। ভূত চতুর্দশীতে অশুভ শক্তির প্রতিকূলতা কাটিয়ে শুভ ও পবিত্রতায় ভরে উঠতে প্রার্থনা করা হয়।

তৃতীয় দিন: কালীপুজো ও লক্ষ্মী-গণেশ পূজা

কার্তিক অমাবস্যায় দীপাবলির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন আসে, যাকে দীপাবলি বা কালীপুজোর দিন বলা হয়। এই দিনটি বিশেষভাবে বাঙালিদের জন্য দেবী কালীর আরাধনার দিন। অমাবস্যার রাতে দেবী কালীর পূজা করে ভক্তরা অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা ও মঙ্গল কামনা করে।

অবাঙালি সমাজে এই দিনটি লক্ষ্মী ও গণেশের আরাধনার মাধ্যমে পালিত হয়। লক্ষ্মী দেবীর পূজা করার মাধ্যমে ধন, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের কামনা করা হয়, এবং গণেশ দেবতাকে পূজা করে শুভ সূচনা ও জ্ঞানের আরাধনা করা হয়।

চতুর্থ দিন: গোবর্ধন পূজা

দীপাবলির চতুর্থ দিন পালিত হয় গোবর্ধন পূজা। এই দিনটি কৃষ্ণ ভক্তদের জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। কথিত আছে যে, এই তিথিতে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর আঙুলের ডগায় গোবর্ধন পর্বত তুলে গোকুলবাসীকে ইন্দ্র দেবতার ক্রোধ থেকে রক্ষা করেছিলেন। এই কারণে, গোবর্ধন পূজার দিনে শ্রীকৃষ্ণকে আরাধনা করা হয় এবং তাঁর কীর্তির স্মরণে পূজা করা হয়। ভক্তরা গোকুলবাসীর মতোই শ্রীকৃষ্ণের উপাসনা করে নিজেদের রক্ষা ও মঙ্গল কামনা করেন।

পঞ্চম দিন: ভাইফোঁটা বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া

দীপাবলির উৎসবের শেষ দিনটি হল ভাইফোঁটা বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। এই দিনে ভাই-বোনের সম্পর্ক উদযাপন করা হয়। বোনেরা তাঁদের ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে তাঁদের দীর্ঘায়ু, সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করে। এই উৎসবটি রক্ষা বন্ধনের মতোই, যেখানে পারিবারিক বন্ধনকে শক্তিশালী করার জন্য বিশেষ আচার পালন করা হয়। ভাইফোঁটা ভারতজুড়ে খুবই জনপ্রিয় একটি আচার, যা পরিবারগুলোর মধ্যে ভালোবাসা ও ঐক্য আরও বৃদ্ধি করে।

উপসংহার

(Kali Puja 2024)দীপাবলির পাঁচ দিনের উৎসব ধনতেরস থেকে শুরু হয়ে ভাইফোঁটা বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় শেষ হয়। এই উৎসব শুধুমাত্র আলোকের প্রতীক নয়, এটি ধন, সম্পদ, সৌভাগ্য, প্রেম ও পরিবারের প্রতীকও। প্রতিটি দিনই ভিন্ন আচার ও রীতির মাধ্যমে উদযাপিত হয়, যা এই উৎসবকে আরও সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যপূর্ণ করে তোলে। দীপাবলি শুধু ভারতেই নয়, সারা বিশ্বজুড়ে ভক্তদের মনে নতুন আশা ও উজ্জ্বলতার প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়।

Durga Puja 2025 Date: দুর্গা পূজা ২০২৫ তারিখ, আগমন ও গমন কিভাবে

সাম্প্রতিক আরো খবর, চাকরি এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য আমাদের WhatsApp চ্যানেল অনুসরণ করুন


Discover more from Infodata News

Subscribe to get the latest posts sent to your email.