Tropical Cyclones: ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ধারণা ও গঠন
ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় কি?
ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় (Tropical Cyclone) হল একটি শক্তিশালী ঘূর্ণায়মান ঝড়, যা উষ্ণ সমুদ্রের উপর নিম্নচাপের ফলে সৃষ্টি হয়। এটি সমুদ্রের উষ্ণ জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে আসে এবং প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। বাতাসের উচ্চ বেগ এবং বৃষ্টির ফলে এটি ভূমি বা সমুদ্রের দিকে ধাবিত হয় এবং প্রচুর ক্ষতি করে। এই ধরনের ঘূর্ণিঝড় সাধারণত ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যায়। ক্রান্তীয় অঞ্চলের উষ্ণ জলের ওপর বায়ুর উত্থান এই ঘূর্ণিঝড় তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
Tropical Cyclone: ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের শারীরিক কাঠামো
ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের গঠনের মূল অংশগুলি হলো:
- ঘূর্ণিঝড়ের চোখ (Eye): ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে থাকে “চোখ,” যেখানে বাতাস খুবই স্থির থাকে এবং আকাশ সাধারণত পরিষ্কার দেখা যায়। চোখের ব্যাস প্রায় ২০-৫০ কিলোমিটার হয়ে থাকে এবং এটি মূলত ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে শান্ত অঞ্চল। এই কেন্দ্রস্থলের চারপাশে ঘূর্ণিঝড়ের উচ্চ বেগের বাতাস প্রবাহিত হয়।
- চোখের প্রাচীর (Eye Wall): চোখের ঠিক চারপাশে থাকে চোখের প্রাচীর, যেখানে বাতাসের গতি সর্বোচ্চ এবং প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। এই অংশে বাতাসের গতিবেগ প্রায় ২০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় পৌঁছতে পারে, যা ঘূর্ণিঝড়কে সবচেয়ে বিধ্বংসী করে তোলে। এই প্রাচীর অংশে বাতাসের উল্লম্ব প্রবাহ এবং বৃষ্টিপাতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে।
- বৃষ্টির ব্যান্ড (Rain Bands): ঘূর্ণিঝড়ের চোখের প্রাচীরের বাইরে থাকে বিভিন্ন ঘূর্ণায়মান বৃষ্টির ব্যান্ড। এই ব্যান্ডে অত্যধিক বৃষ্টিপাত এবং ঝোড়ো বাতাস থাকে, যা ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের আকার ও শক্তি বাড়ায়। এই ব্যান্ডগুলি কেবল ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে না, বরং বিস্তীর্ণ এলাকায় বন্যা এবং ভূমিধস ঘটায়।
- নিম্নচাপ অঞ্চল (Low-Pressure System): ঘূর্ণিঝড় নিম্নচাপের এক বিশেষ ধরনের গঠন, যেখানে কেন্দ্রীয় নিম্নচাপ বাতাসকে কেন্দ্রীভূত করে এবং শক্তি বৃদ্ধি করে। এটি উচ্চচাপ থেকে নিম্নচাপের দিকে প্রবাহিত বাতাসকে আকর্ষণ করে, যা ঘূর্ণিঝড়ের ঘূর্ণনকে তীব্র করে তোলে।
- বায়ুমণ্ডলীয় স্তর (Atmospheric Layers): ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের গঠন এবং তীব্রতা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন বায়ুমণ্ডলীয় স্তরের ভূমিকা রয়েছে। তাপমন্ডলের নিম্ন স্তরের উষ্ণতা এবং আর্দ্রতা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিকে বৃদ্ধি করে। এছাড়া মেঘের গঠন ও বৃষ্টিপাতের স্তরগুলোও ঘূর্ণিঝড়ের এক্তিয়ার নির্ধারণ করে।
Tropical Cyclone: ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণ
ক্রমাগত উষ্ণ তাপমাত্রা, জলীয় বাষ্প, নিম্নচাপের গঠন, এবং বাতাসের প্রবাহের তারতম্য—এই সকল কারণ মিলেই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের জন্য বিশেষ কিছু কারণকে দায়ী করা হয়, যা এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের বারবার পুনরাবৃত্তির দিকে ইঙ্গিত করে।
ভারতীয় উপমহাদেশে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়: কারণ, প্রভাব এবং প্রস্তুতি
ভারতে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় একটি সাধারণ প্রাকৃতিক ঘটনা, যা দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলকে প্রায়ই ক্ষতিগ্রস্ত করে। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের উপর জলবায়ুগত কারণগুলো এই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। ভারতের বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং কেরালা অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব অত্যন্ত মারাত্মক হয়ে দাঁড়ায়।
( Tropical Cyclones) ঘূর্ণিঝড়ের কারণ
১. বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের উষ্ণতা: জলবায়ুর উষ্ণতা ঘূর্ণিঝড় তৈরির মূল কারণ। ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের জল তাপমাত্রা ২৬° সেলসিয়াসের বেশি থাকলে বাতাস ও জলীয় বাষ্প দ্রুত উপরে উঠে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করে।
২. নিম্নচাপ অঞ্চলের গঠন: জলীয় বাষ্প মিশ্রিত বাতাস উষ্ণ এলাকায় ঘূর্ণায়মান বাতাসে পরিণত হয়। নিম্নচাপের ফলে গঠিত বায়ুমণ্ডলীয় চাপের তারতম্য ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করে এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রভাব ফেলে।
৩. আর্দ্রতার ঘনত্ব: বেশি পরিমাণ জলীয় বাষ্প ও আর্দ্রতা ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বাড়ায়। এই কারণে সাগরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনাও বাড়ে।
ভারতের উপকূলীয় এলাকায় ( Tropical Cyclones) ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব
ভারতে ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত একাধিক বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত লেগেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘূর্ণিঝড়গুলি হলো ফণী, আমফান, ওখি, তাওক্টে এবং ইয়াস। এই ঘূর্ণিঝড়গুলির প্রভাবে বহু মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে এবং পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।
১. জীবনহানি ও সম্পত্তি ক্ষতি: ঘূর্ণিঝড় আমফান ও ফণীর মতো ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলিতে বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছে এবং বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।
২. অর্থনৈতিক প্রভাব: ভারতে ঘূর্ণিঝড়ে ফসলের ক্ষতি, মাছ ধরা এবং ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব পড়ে, যা অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
৩. প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রভাব: সুন্দরবনের মতো এলাকায় জীববৈচিত্র্যে প্রভাব পড়েছে এবং ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, যা ঐ অঞ্চলের বাস্তুসংস্থানকে হুমকির মুখে ফেলে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ব্যবস্থা
ভারতীয় সরকার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন উন্নত আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থার মাধ্যমে সঠিক সময়ে সতর্কতা প্রদান করা হচ্ছে, এবং সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
- নিরাপত্তা পরিকল্পনা: সরকারের উদ্যোগে উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব কেন্দ্র সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক।
- আবহাওয়া পূর্বাভাস: উন্নত উপগ্রহ প্রযুক্তির মাধ্যমে সঠিকভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, যা ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ এবং সম্ভাব্য প্রভাব বুঝতে সাহায্য করছে।
-
পুনর্বাসন ও সাহায্য: ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই আক্রান্ত এলাকাগুলোতে পুনর্বাসন ব্যবস্থা, খাদ্য, পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহ করা হচ্ছে।
List of Tropical Cyclones that hit India from 2014 to 2024
-
ভারতে ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়: বিশ্লেষণ
ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বরাবরই একটি গুরুতর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা প্রতি বছর মারাত্মক ক্ষতি করে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আঘাত হেনেছে। এখানে সেই সব বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা এবং তাদের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
-
ঘূর্ণিঝড়ের নাম বছর নাম প্রস্তাবকারী দেশ প্রভাবিত এলাকা বাতাসের গতি (কিমি/ঘণ্টা) প্রভাব হুদহুদ ২০১৪ ওমান অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা ১৭৫ বিশাখাপত্তনমে ব্যাপক ক্ষতি; অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ সংযোগে ক্ষতি। ভার্দাহ ২০১৬ পাকিস্তান তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ১৩০ চেন্নাইয়ে ভারী বৃষ্টিপাত, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও ঘরবাড়ি, গাছের ক্ষতি। ওখি ২০১৭ বাংলাদেশ কেরালা, তামিলনাড়ু, লাক্ষাদ্বীপ ১৮৫ উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি, সমুদ্রে প্রাণহানির ঘটনা। তিতলি ২০১৮ পাকিস্তান ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ১৫০ উপকূলীয় ওড়িশায় বন্যা, কৃষি ও অবকাঠামোতে ক্ষতি। ফণী ২০১৯ বাংলাদেশ ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ২১৫ পুরী ও ভুবনেশ্বরে ব্যাপক ক্ষতি; বিদ্যুৎ ও হাজার হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। বুলবুল ২০১৯ পাকিস্তান পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ১৩৫ ফসলের ক্ষতি, গাছ উপড়ে পড়া এবং ভারী বৃষ্টিপাত। আম্পান ২০২০ থাইল্যান্ড পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ২৪০ কলকাতা ও সুন্দরবনে বিধ্বংসী প্রভাব; ব্যাপক গৃহহীনতা ও ফসলের ক্ষতি। নিসর্গ ২০২০ ভারত মহারাষ্ট্র, গুজরাট ১১০ উপকূলীয় মহারাষ্ট্রে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং ঘরবাড়ির ক্ষতি। তাউকতাই ২০২১ মায়ানমার গুজরাট, মহারাষ্ট্র ২২০ গুজরাটে ব্যাপক অবকাঠামো ক্ষতি ও ভারী বৃষ্টিপাত। ইয়াস ২০২১ ওমান ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ১৪০ উপকূলীয় গ্রামে বন্যা ও ফসলের ক্ষতি। বিপরজয় ২০২৩ বাংলাদেশ গুজরাট, রাজস্থান ১৪০ গুজরাটে বন্যা ও অবকাঠামোগত ক্ষতি, রাজস্থানে ভারী বৃষ্টিপাত। রেমাল ২০২৪ ওমান পশ্চিমবঙ্গ,বাংলাদেশ ১১০ উপকূলীয় গ্রামে বন্যা ও ফসলের ক্ষতি। ডানা ২০২৪ কাতার
ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ১২০ উপকূলীয় গ্রামে বন্যা ও ফসলের ক্ষতি।
-
List of Tropical Cyclones that hit India
-
১. হুদহুদ (২০১৪)
- ঘটনাস্থল: অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম
- গতি: ১৭৫ কিমি/ঘণ্টা
- প্রভাব: শহরের বিদ্যুৎ ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি; অনেক বাড়ি ও রাস্তা ধ্বংস হয়।
২. ভারদাহ (২০১৬)
- ঘটনাস্থল: চেন্নাই, তামিলনাড়ু
- গতি: ১৩০ কিমি/ঘণ্টা
- প্রভাব: শহরজুড়ে বিদ্যুৎ বিঘ্ন, বহু বাড়িঘর ও গাছপালা ভেঙে যায়, বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
৩. ওখি (২০১৭)
- ঘটনাস্থল: কেরালা, লক্ষদ্বীপ
- গতি: ১৮৫ কিমি/ঘণ্টা
- প্রভাব: ব্যাপক প্রাণহানি, জেলেদের বড় ক্ষতি, উপকূলবর্তী এলাকা প্লাবিত।
৪. ফণী (২০১৯)
- ঘটনাস্থল: ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ
- গতি: ২১৫ কিমি/ঘণ্টা
- প্রভাব: ব্যাপক অবকাঠামো ক্ষতি, পুরী ও ভুবনেশ্বরে প্রচুর ক্ষতি, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ।
৫. আমফান (২০২০)
- ঘটনাস্থল: সুন্দরবন, পশ্চিমবঙ্গ
- গতি: ২৪০ কিমি/ঘণ্টা
- প্রভাব: কলকাতাসহ সুন্দরবনে প্রবল ক্ষতি; ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, বহু মানুষ গৃহহীন।
৬. তাওক্টে (২০২১)
- ঘটনাস্থল: গুজরাট, মহারাষ্ট্র
- গতি: ২২০ কিমি/ঘণ্টা
- প্রভাব: উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবকাঠামো ক্ষতি; বৃষ্টি ও বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি।
৭. বিপরজয় (২০২৩)
- ঘটনাস্থল: গুজরাট
- গতি: ১৪০ কিমি/ঘণ্টা
- প্রভাব: গুজরাটে বন্যা, বিভিন্ন স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত।
ভারতে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের পুনরাবৃত্তি এবং এর গুরুত্ব
ভারতের উপকূলীয় এলাকাগুলোর পরিবেশগত অবস্থান এবং জলবায়ুর কারণে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব অত্যন্ত মারাত্মক। প্রতি বছর উপকূলীয় অঞ্চলে বড়ো আকারের ঘূর্ণিঝড় আসে, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভারত মহাসাগরে উৎপন্ন হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়গুলো কেবলমাত্র প্রকৃতির উপর প্রভাব ফেলে না, বরং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা, কৃষি, এবং অর্থনীতির উপরও প্রভাব বিস্তার করে।
এগুলো স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে উন্নত আবহাওয়া পূর্বাভাস ব্যবস্থা, অস্থায়ী আশ্রয় এবং পুনর্বাসন সুবিধা উন্নয়নে উদ্যোগী করে তুলেছে। এর ফলে মানুষকে সচেতন করে নিরাপত্তার আশ্বাস প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধে করণীয়
ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সতর্কতা বৃদ্ধি, সরকারী পদক্ষেপ, এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। টেকসই উন্নয়ন এবং উপকূলীয় অঞ্চলের সুরক্ষার জন্য পরিবেশ সংরক্ষণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন।
-
উপসংহার
এই ঘূর্ণিঝড়গুলো ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা এবং আর্থিক ক্ষতির জন্য দায়ী। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড় ভারতের মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (IMD) এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সামাল দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসের উন্নতির জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তবে পরিবেশ সংরক্ষণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা রক্ষার জন্য আরও ব্যবস্থা প্রয়োজন।
সাম্প্রতিক আরো খবর, চাকরি এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য আমাদের WhatsApp চ্যানেল অনুসরণ করুন
Discover more from Infodata News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.