Mahalaya Date and Time 2026: মহালয়া ২০২৬ তারিখ ও সময়

Mahalaya Date and Time:
মহালয়া ২০২৬: তারিখ, সময়

তারিখ১০ই অক্টোবর ২০২৬

সময়: অমাবস্যা শুরু – ৯ই অক্টোবর ২০২৬  – 09:35 PM

অমাবস্যা শেষ – ১০ই অক্টোবর ২০২৬ – 09:20 AM

মহালয়া বাঙালিদের মধ্যে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আবেগময় দিন। এটি পিতৃপক্ষের সমাপ্তি এবং দেবীপক্ষের সূচনা হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে পিতৃপুরুষদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং এটি দেবী দুর্গার আগমনের সূচনার প্রতীক। মহালয়ার দিনটি প্রতিটি বাঙালির মনে এক বিশেষ স্থান করে নিয়েছে, কারণ এই দিন থেকেই শুরু হয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি।

Mahalaya Date and Time 2026:মহালয়ার তিথি ও সময়সূচি ২০২৬

মহালয়া ২০২৬ সালের ১০ই অক্টোবর পালিত হবে। অমাবস্যা তিথি শুরু হবে ৯ই অক্টোবর 09:35 PM টায় এবং শেষ হবে ১০ই অক্টোবর, 09:20 AM। মহালয়ার সময় হলো পূর্বপুরুষদের শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করার সবচেয়ে শুভ মুহূর্ত।What is Mahalaya and why is it celebrated 2

মহালয়া: কী এবং কেন এটি উদযাপিত হয়?

(What is Mahalaya and why is it celebrated ? ) মহালয়া হল পিতৃপক্ষের শেষ দিন এবং দেবীপক্ষের প্রথম দিন। পিতৃপক্ষ হল সেই সময় যখন হিন্দুরা তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে এবং তাদের স্মরণ করে তিলাঞ্জলি দেয়। মহালয়ার পর দিন থেকেই দেবীপক্ষ শুরু হয়, যা দেবী দুর্গার আবাহন এবং পূজার জন্য অত্যন্ত শুভ সময়।

মহালয়া এমন এক সময়, যখন দেবী দুর্গা তার সন্তানদের নিয়ে মর্ত্যলোকে আগমন করেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এই সময়ে মর্ত্যে ফিরে আসেন এবং তার আগমন পৃথিবীকে কল্যাণ এবং শান্তির বার্তা দেয়। মহালয়ার দিন মহিষাসুরমর্দিনী চণ্ডীপাঠ প্রচারিত হয়, যা দেবীর শক্তি এবং অসুরবিনাশী রূপকে তুলে ধরে। এই মহালয়ার দিনে, বাঙালিরা রেডিওতে মহিষাসুরমর্দিনী শুনে, দেবী দুর্গার আগমনবার্তা পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়।

মহালয়ার দিন কীভাবে পালিত হয়?

মহালয়ার দিন বিভিন্ন আচার ও রীতি পালিত হয়। সাধারণত ভোরবেলা মানুষ গঙ্গায় বা অন্য কোনো পবিত্র নদীতে স্নান করে, তারপর পূর্বপুরুষদের স্মরণে তারপণ দেয়। মহিষাসুরমর্দিনী চণ্ডীপাঠ শোনা এবং চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গার শক্তিকে আহ্বান করা মহালয়ার একটি প্রধান আচার। মহালয়ার দিনটিকে দেবী দুর্গার আবাহন এবং তার আগমনের উদযাপন হিসেবে পালন করা হয়।

 

পিতৃপক্ষ এবং দেবীপক্ষের সংযোগ

মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষ দিন এবং দেবীপক্ষের সূচনা হিসেবে পালিত হয়। পিতৃপক্ষ হল সেই সময় যখন পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার শান্তির জন্য শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পিতৃপক্ষের শেষ দিন মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের জন্য পিণ্ডদান এবং তারপণ করা হয়। এর পরে দেবীপক্ষ শুরু হয়, যা দেবী দুর্গার আগমনের সময়।

দেবীপক্ষ হল সেই সময় যখন দেবী দুর্গা মর্ত্যে ফিরে আসেন তার সন্তানদের নিয়ে। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, দেবী দুর্গা মর্ত্যে তার বাপের বাড়ি আসেন এবং তার আগমন পৃথিবীকে কল্যাণ ও শান্তির বার্তা দেয়। মহালয়া এই আগমনের সূচনা হিসেবে পালিত হয়।

মহালয়ার পৌরাণিক কাহিনী ও দেবীপক্ষের সূচনা

মহালয়ার সাথে এক ঐতিহাসিক পৌরাণিক কাহিনী জড়িত রয়েছে। পৌরাণিক মতে, মহিষাসুর নামের এক অসুর ব্রহ্মার বর লাভ করে, যার ফলে সে অমরত্ব লাভ করে এবং দেবতাদের পরাজিত করে স্বর্গ অধিকার করে নেয়। দেবতারা মহিষাসুরের অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের শরণাপন্ন হন। এই তিন দেবতা তাদের তেজ থেকে এক দেবীকে সৃষ্টি করেন, যিনি হলেন দেবী দুর্গা। দুর্গা মা তার অসুরবিনাশী রূপে মহিষাসুরকে পরাজিত করে দেবতাদের মুক্তি দেন। এই ঘটনাই চণ্ডীপাঠে বর্ণিত হয় এবং মহালয়ার দিন সেটি স্মরণ করা হয়।

দেবী দুর্গার এই মহিষাসুর বিনাশের কাহিনী আমাদের মনে করে দেয় যে, যেকোনো দুষ্ট শক্তির বিনাশ একদিন অনিবার্য এবং শুভ শক্তি সব সময় জয়ী হয়। মহালয়ার দিন এই কাহিনী বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়, কারণ এই দিন থেকেই দেবী দুর্গার আগমন ঘটে এবং সারা পৃথিবীতে শান্তি ও কল্যাণের বার্তা ছড়িয়ে পড়ে।

মহালয়া এবং দুর্গাপূজা: আবাহনের সময়সূচি

মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়, যার পরপরই দুর্গাপূজার উদযাপন শুরু হয়। মহালয়ার পর থেকে পরবর্তী ছয় দিন ধরে দেবী দুর্গার আগমনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। ষষ্ঠী তিথি থেকে দুর্গাপূজার মূল উদযাপন শুরু হয়। মহালয়া থেকে ষষ্ঠী পর্যন্ত সময়টিতে মন্দিরগুলিতে দেবী দুর্গার মূর্তি স্থাপন করা হয় এবং পূজা মণ্ডপ সাজানো হয়। এই সময়ে বাঙালিরা নতুন পোশাক কিনে, মিষ্টি তৈরি করে এবং দেবীর আগমনের অপেক্ষায় থাকে

👉 আমাদের ফলো করুন:

📰 ট্রেন্ডিং খবর | 📢 জরুরি আপডেট | 💼 নতুন চাকরির সুযোগ


Discover more from

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Leave a Reply