Janmashtami 2024 : শ্রীকৃষ্ণের পূজার সেরা দিন কোনটি? কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী 2024 কবে, কখন লাগবে? জন্মাষ্টমীর ইতিহাস কেন উদযাপিত হয়?

Janmashtami, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ২০২৪ উদযাপন করা হবে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের স্মরণে, যা হিন্দু ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র এবং মহৎ একটি উৎসব। শ্রীকৃষ্ণ হিন্দু ধর্মের একজন গুরুত্বপূর্ণ দেবতা, যিনি বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসেবে পূজিত হন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে ভক্তরা শ্রীকৃষ্ণের জীবনের ঘটনাগুলো স্মরণ করেন এবং বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

এই উৎসবটি ভগবান কৃষ্ণের জন্মের মাধ্যমে দুষ্টের দমন ও ধর্মের প্রতিষ্ঠার প্রতীক হিসেবে পালিত হয়। আসুন, এই ব্লগে আমরা Janmashtami শ্রীকৃষ্ণের পূজার সেরা দিন কোনটি? কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী 2024 কবে, কখন লাগবে ?, জন্মাষ্টমীর ইতিহাস কেন উদযাপিত হয় ? এবং এর গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব ।

Janmashtami, কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী কবে ?

 জন্মাষ্টমী ২০২৪-এর তারিখ

হিন্দু ধর্মে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ অনুযায়ী, অষ্টমী তিথি, রোহিণী নক্ষত্র, বৃষ লগ্ন এবং বুধবারের মধ্যরাতে মথুরার কারাগারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেন। এই পবিত্র তিথিতে ভক্তরা উপবাস পালন করে এবং মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের পর তাঁর পূজা করেন। মথুরা, বৃন্দাবনসহ সারা বিশ্বে এই উৎসব অত্যন্ত ধুমধামের সঙ্গে উদযাপিত হয়। এবার জন্মাষ্টমী কোন তারিখে পড়েছে, তা বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।

Janmashtami ,জন্মাষ্টমী ২০২৪ সালে উদযাপিত হবে ২৬ আগস্ট। হিন্দু পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয় শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে। এই বছরও জন্মাষ্টমী একই ভাবে উদযাপিত হবে, যেখানে ভক্তরা দিনভর উপবাস পালন করে রাতের বেলা ভগবান কৃষ্ণের জন্মের সময়টি উদযাপন করবেন।

কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী 2024 কখন লাগবে ?

  • শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ২০২৪  শুভক্ষণ

তিথি সময়
অষ্টমী তিথি শুরু ২৬ অগস্ট ২০২৪, ভোর ৩টে ৪০ মিনিটে
অষ্টমী তিথি সমাপ্ত ২৭ অগস্ট ২০২৪, সকাল ২টো ২০ মিনিটে
  • শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ২০২৪ রোহিণী নক্ষত্রের সময়
নক্ষত্র সময়
রোহিণী নক্ষত্র শুরু ২৬ অগস্ট সন্ধ্যা ৩টে ৫৫ মিনিটে
রোহিণী নক্ষত্র সমাপ্ত ২৭ অগস্ট সকাল ২টো ২০ মিনিটে
  • শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমী ২০২৪পুজোয় সময়
পুজো শুভক্ষণ
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর পুজো রাত ১২টা থেকে ১২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত। পুজোর জন্য ৪৫ মিনিট সময়।
ব্রতভঙ্গ ২৭ অগস্ট ২০২৪ সকাল ১১টা পর্যন্ত

 
Janmashtami 2024

Janmashtami জন্মাষ্টমীর ইতিহাস: শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও এর তাৎপর্য

শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও বেড়ে ওঠা নিয়ে প্রচলিত কাহিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার এবং তাঁর জন্ম হয়েছিল অত্যাচারী রাজা কংসের অত্যাচার থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য।

শ্রীকৃষ্ণের জন্ম:

শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কাহিনির শুরু হয় মথুরা নগরী থেকে। মথুরার রাজা কংস অত্যন্ত নিষ্ঠুর ছিলেন। তাঁর বোন দেবকীর সঙ্গে বিয়ে হয় যাদব বংশের বসুদেবের। কংস যখন তাঁর বোন দেবকী ও ভগ্নীপতি বসুদেবকে রথে করে তাঁদের নতুন গৃহে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন আকাশবাণীতে শোনা যায় যে, দেবকীর অষ্টম পুত্রই হবে তাঁর মৃত্যুর কারণ। এই ভবিষ্যদ্বাণী শুনে কংস আতঙ্কিত হয়ে দেবকী ও বসুদেবকে কারাগারে বন্দী করেন। এরপর তিনি দেবকীর প্রতিটি সন্তানের জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই হত্যা করতে থাকেন।

কিন্তু যখন দেবকী অষ্টম সন্তান শ্রীকৃষ্ণকে জন্ম দেন, তখন বিষ্ণুর কৃপায় কারাগারের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায় এবং বসুদেব শ্রীকৃষ্ণকে একটি ঝুড়িতে করে মথুরা থেকে গোকুলে নিয়ে যান। গোকুলে নন্দ এবং যশোদার কাছে শ্রীকৃষ্ণকে রেখে আসেন। বসুদেব গোকুল থেকে নন্দ-যশোদার কন্যাকে নিয়ে এসে কংসকে দেন। কংস যখন সেই কন্যাকে হত্যা করতে চান, তখন তিনি আকাশে উড়ে গিয়ে জানান যে, শ্রীকৃষ্ণ ইতিমধ্যে জীবিত আছেন এবং সময়মতো তাঁকে ধ্বংস করবেন।

শ্রীকৃষ্ণের শৈশব:

শ্রীকৃষ্ণের শৈশব গোকুলে কাটে। নন্দ এবং যশোদা তাঁকে তাঁদের সন্তান হিসেবে লালন-পালন করেন। শৈশবে শ্রীকৃষ্ণ ছিলেন অত্যন্ত দুষ্টু ও চঞ্চল। তিনি প্রায়ই মাখন চুরি করতেন, যা থেকে তিনি ‘মাখনচোর’ নামে পরিচিত হন। গোপীদের ঘরে ঘরে তিনি মাখন খুঁজতে যেতেন, আর মাখন চুরি করার জন্য নানান মজার কাণ্ড ঘটাতেন।

শ্রীকৃষ্ণের শৈশবের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হল ‘পুতনা বধ’। পুতনা নামে এক দানবী কংসের আদেশে শিশুপুত্র শ্রীকৃষ্ণকে বিষ দিয়ে হত্যা করতে আসে। কিন্তু শ্রীকৃষ্ণ নিজের অলৌকিক শক্তির মাধ্যমে পুতনাকে বধ করেন এবং তার বিষের কোনও প্রভাব তাঁকে স্পর্শ করতে পারেনি।

শ্রীকৃষ্ণের আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল ‘কালীয় দমন’। যমুনা নদীতে কালীয় নামে একটি ভয়ঙ্কর নাগ বাস করত, যার বিষে যমুনার জল বিষাক্ত হয়ে উঠেছিল। শ্রীকৃষ্ণ যমুনার জলে নেমে কালীয় নাগকে পরাস্ত করেন এবং তাকে যমুনা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করেন। এই ঘটনার ফলে যমুনা আবার শান্ত ও পবিত্র হয়ে ওঠে।

শ্রীকৃষ্ণের কৈশোর:

শ্রীকৃষ্ণের কৈশোরে, বৃন্দাবনে গোপীদের সঙ্গে তাঁর রাসলীলা অত্যন্ত জনপ্রিয়। রাসলীলায় শ্রীকৃষ্ণ গোপীদের সঙ্গে নাচ করেন এবং তাঁদের প্রেম ও ভক্তির সঙ্গী হন। শ্রীকৃষ্ণের বাঁশি বাজানোর সুর শুনে গোপীরা মুগ্ধ হয়ে তাঁর কাছে আসতেন। এই রাসলীলার মধ্য দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের প্রেম, ভক্তি, ও দেবত্বের পরিচয় মেলে।

কৈশোরে শ্রীকৃষ্ণ ‘গোবর্ধন পর্বত’ লীলাও সম্পাদন করেন। কংসের আদেশে ইন্দ্র দেবতা বৃন্দাবনে প্রচুর বৃষ্টি ও ঝড়ের সৃষ্টি করেন, যা বৃন্দাবনের মানুষদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারত। শ্রীকৃষ্ণ তখন গোবর্ধন পর্বত নিজের আঙুলের ডগায় তুলে ধরে, বৃন্দাবনের মানুষদের আশ্রয় দেন এবং তাঁদের রক্ষা করেন। এই লীলার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ দেখান যে, প্রকৃত দেবতা ইন্দ্র নন, বরং প্রকৃতির অধীশ্বর শ্রীকৃষ্ণই।

শ্রীকৃষ্ণের যুবক বয়স:

যুবক বয়সে শ্রীকৃষ্ণ মথুরায় ফিরে আসেন এবং অত্যাচারী কংসকে বধ করেন। এরপর তিনি রাজা উদ্ভব ও কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবদের সঙ্গী হয়ে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। শ্রীকৃষ্ণের জীবনের এই সময়ে তিনি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার উপদেশ দেন, যা আজও বিশ্ববাসীর জন্য এক অনন্য দর্শন ও পথপ্রদর্শক।

এইভাবে শ্রীকৃষ্ণের জীবন কাহিনি বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় থেকে মানুষ ধর্ম, নৈতিকতা, ও জীবনের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে শিক্ষালাভ করে।

মহাভারত ও জন্মাষ্টমী Mahabharat and Janmashtami

মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে। মহাভারত, যা হিন্দু ধর্মের অন্যতম প্রধান মহাকাব্য, শ্রীকৃষ্ণের জীবন, তাঁর শিক্ষা এবং বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ধর্ম ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠার কাহিনী বর্ণনা করে। মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণকে একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যিনি দুষ্টের দমন ও সজ্জনের রক্ষার্থে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন।

শ্রীকৃষ্ণের জন্ম মহাভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কংসের অত্যাচার থেকে রক্ষা পেয়ে শ্রীকৃষ্ণ গোকুলে নিরাপদে বেড়ে ওঠেন। মহাভারতে কৃষ্ণের বাল্যকালের কাহিনী যেমন, কংসের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে লড়াই, দুষ্ট রাজাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, এবং গোপালদের সঙ্গে মাখনের হাঁড়ি চুরির মতো গল্পগুলি উল্লেখ করা হয়েছে।

পুরাণে শ্রীকৃষ্ণের কাহিনী

Janmashtami জন্মাষ্টমীর ইতিহাসে পুরাণেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। ভাগবত পুরাণে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা বিশদভাবে বর্ণিত হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম একটি বিশেষ মহামন্ত্র দ্বারা আশীর্বাদিত, যা পৃথিবীতে শান্তি ও ধর্মের প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। এই পুরাণে শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকাল থেকে শুরু করে তাঁর যুবকবেলার বিভিন্ন ঘটনা, যেমন রাধার সাথে প্রেমলীলা, কংসবধ, এবং মথুরা রাজ্যের পুনর্গঠন উল্লেখ করা হয়েছে।

ভাগবত পুরাণে শ্রীকৃষ্ণকে একজন আদর্শ নেতা ও ধর্মপ্রেমিক ব্যক্তি হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। জন্মাষ্টমী উদযাপনের সময় ভক্তরা শ্রীকৃষ্ণের জীবনের এই ঘটনাগুলো স্মরণ করেন এবং তাঁর প্রতি ভক্তি নিবেদন করেন।

Janmashtami, জন্মাষ্টমী কেন উদযাপিত হয়?

Janmashtami জন্মাষ্টমী উদযাপনের মূল কারণ হলো শ্রীকৃষ্ণের জন্ম এবং তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলিকে স্মরণ করা। শ্রীকৃষ্ণের জীবন এবং শিক্ষা মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এবং এই শিক্ষা ধর্ম, কর্ম, এবং মানবিকতার গুরুত্বকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। জন্মাষ্টমী শুধুমাত্র ভগবান কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে নয়, বরং একটি বিশেষ উপলক্ষ হিসেবে উদযাপিত হয়, যেখানে ভক্তরা কৃষ্ণের শিক্ষা অনুসরণ করে নিজেদের জীবনের মান উন্নত করার চেষ্টা করেন।

শ্রীকৃষ্ণের জীবন থেকে আমরা যেসব শিক্ষা পেতে পারি, তার মধ্যে রয়েছে ধর্মের পথ অনুসরণ, সত্যের প্রতি অবিচল থাকা, এবং জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করা। শ্রীকৃষ্ণের “ভগবদ্‌ গীতা” অন্যতম একটি মহৎ ধর্মগ্রন্থ, যা মানুষকে জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং সঠিক পথ নির্দেশ করে।

আরো পড়ুন আজকের দিনের খবর

Janmashtami History

Janmashtami, জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব

Janmashtami জন্মাষ্টমীর গুরুত্ব অসীম। এটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে উদযাপিত হয়। জন্মাষ্টমীর মাধ্যমে মানুষদের মধ্যে ঐক্য, সৌহার্দ্য এবং ভ্রাতৃত্ববোধের উন্মেষ ঘটে। বিভিন্ন মন্দিরে এবং ঘরে ঘরে কৃষ্ণের জন্মের সময়টি উদযাপিত হয়, যেখানে ভক্তরা গান, নাচ, এবং নাটকের মাধ্যমে কৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা প্রদর্শন করেন।

ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে জন্মাষ্টমী উদযাপনের ভিন্ন ভিন্ন ধারা আছে। যেমন, মথুরা এবং বৃন্দাবন শহরে, যেখানে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও বেড়ে ওঠার কাহিনী রয়েছে, সেখানে এই উৎসবটি অত্যন্ত ধুমধামের সাথে উদযাপিত হয়। এছাড়াও, মুম্বাইয়ে দহি হাণ্ডি খেলার মাধ্যমে জন্মাষ্টমী উদযাপিত হয়, যেখানে যুবকেরা একটি পাত্রে দই ভর্তি করে উপরের দিকে ঝুলিয়ে রাখেন এবং অন্য দল সেই পাত্রটি ভাঙার চেষ্টা করে।

জন্মাষ্টমীর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো উপবাস। ভক্তরা দিনভর উপবাস পালন করেন এবং রাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের সময়টি উদযাপন করেন। এই উপবাস ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা এবং ভক্তির প্রতীক হিসেবে পালন করা হয়।

জন্মাষ্টমী উদযাপনের প্রাচীন ঐতিহ্য

Janmashtami জন্মাষ্টমী উদযাপনের ঐতিহ্য প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এই উৎসবটি বিভিন্নভাবে উদযাপিত হয়। বিশেষ করে উত্তর ভারতে, মথুরা ও বৃন্দাবন এলাকায় এই উৎসব অত্যন্ত ধুমধামের সাথে পালিত হয়। মথুরা শহরটি শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত, আর বৃন্দাবন হলো তাঁর শৈশবের লীলাভূমি। এই দুই শহরে জন্মাষ্টমীর সময় লক্ষ লক্ষ ভক্ত সমবেত হন এবং বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন।

প্রাচীন যুগে জন্মাষ্টমী উদযাপন মূলত মন্দিরকেন্দ্রিক ছিল, যেখানে ভক্তরা দিনভর উপবাস পালন করতেন এবং রাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মুহূর্তে বিশেষ পূজা করতেন। বিভিন্ন মন্দিরে কৃষ্ণের জীবনের কাহিনী নিয়ে নাটক ও গান পরিবেশন করা হতো। এই প্রথা আজও অব্যাহত রয়েছে এবং আধুনিক যুগে আরও বিস্তৃতভাবে পালিত হচ্ছে।

জন্মাষ্টমীর আধুনিক উদযাপন

আধুনিক যুগে জন্মাষ্টমী উদযাপন আরও বৃহত্তর আকার ধারণ করেছে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জন্মাষ্টমী অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়। বিশেষ করে মুম্বাইয়ের “দহি হাণ্ডি” খেলা, যেখানে যুবকেরা একটি পাত্রে দই ভর্তি করে উপরের দিকে ঝুলিয়ে রাখেন এবং অন্য দল সেই পাত্রটি ভাঙার চেষ্টা করে, এটি একটি বিশেষ আকর্ষণ।

বর্তমান যুগে, জন্মাষ্টমী উদযাপনের সময় বিভিন্ন মন্দিরে শোভাযাত্রা, কৃষ্ণের মূর্তি স্নান করানো, সঙ্গীত ও নৃত্য অনুষ্ঠান, এবং প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও, ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা ও তাঁর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং নিজেদের ভক্তি প্রকাশ করেন।

উপসংহার

Janmashtami জন্মাষ্টমীর ইতিহাস প্রাচীন এবং গভীর। শ্রীকৃষ্ণের জন্ম এবং তাঁর জীবনের বিভিন্ন ঘটনা মানুষের জীবনে ধর্ম, কর্ম, এবং মানবিকতার গুরুত্বকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে। জন্মাষ্টমীর মাধ্যমে ভক্তরা শ্রীকৃষ্ণের প্রতি তাঁদের ভক্তি ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর শিক্ষা অনুসরণ করে নিজেদের জীবনের মান উন্নত করার চেষ্টা করেন। জন্মাষ্টমী শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিসেবে উদযাপিত হয়, যা মানুষের মধ্যে ঐক্য, সৌহার্দ্য এবং ভ্রাতৃত্ববোধের উন্মেষ ঘটায়।

Janmashtami

সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী FAQ’s Janmashtami

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমী কী?

উত্তর: জন্মাষ্টমী হল শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি, যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মের উদযাপন হিসাবে পালিত হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমী কখন পালিত হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমী হিন্দু পঞ্জিকার অনুযায়ী শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে পালিত হয়। এটি সাধারণত আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে পড়ে।

প্রশ্ন: কেন জন্মাষ্টমী উদযাপন করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমী উদযাপন করা হয় শ্রীকৃষ্ণের জন্মের স্মরণে। তিনি ছিলেন ভগবান বিষ্ণুর অবতার, এবং কংসের অত্যাচার থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে কীভাবে উদযাপন করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে উপবাস, পূজা, শোভাযাত্রা, ভজন-সংকীর্তন, এবং শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে নাটক ও পালা মঞ্চস্থ করা হয়। মধ্যরাতে, যখন শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়, মন্দিরগুলোতে বিশেষ পূজা ও আরতি করা হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীর আরেকটি জনপ্রিয় উদযাপন কী?

উত্তর: জন্মাষ্টমীর আরেকটি জনপ্রিয় উদযাপন হল ‘দহি হান্ডি’, যেখানে তরুণরা একটি মানব পিরামিড তৈরি করে এবং একটি মাটির পাত্র (হান্ডি) ভেঙে দুধ ও দই সংগ্রহ করে।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীর দিন কী ধরনের খাবার তৈরি করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে সাধারণত শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় মিষ্টি খাবার তৈরি করা হয়, যেমন মাখন, মিষ্টি দই, ও লাড্ডু। উপবাসকারী ভক্তরা ফলমূল ও নিরামিষ খাবার গ্রহণ করে।

প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান কোথায়?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থান মথুরা, যা বর্তমান উত্তরপ্রদেশের একটি শহর।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কোন কোন মন্দিরগুলি বিশেষভাবে পরিচিত?

উত্তর: মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান মন্দির, বৃন্দাবনের মন্দিরগুলি, এবং মুম্বাইয়ের ইস্কন মন্দির বিশেষভাবে পরিচিত জন্মাষ্টমী উদযাপনের জন্য।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য কী?

উত্তর: জন্মাষ্টমী আধ্যাত্মিকভাবে ভক্তদের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি প্রেম ও ভক্তি জাগ্রত করে এবং অধর্মের বিনাশ ও ধর্মের প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দেয়।

প্রশ্ন: ভারতের বাইরে জন্মাষ্টমী কোথায় পালিত হয়?

উত্তর: ভারতের বাইরে জন্মাষ্টমী নেপাল, বাংলাদেশ, এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ও ফিজি দ্বীপে পালিত হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমী কত দিন ধরে পালিত হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমী সাধারনত এক দিন ধরে পালিত হয়, তবে কিছু স্থানে এটি দুই দিন ধরে উদযাপিত হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে কোন দেবদেবীর পূজা করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে প্রধানত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজা করা হয়। তবে সঙ্গে সঙ্গে রাধা, যশোদা, এবং বালগোপালের পূজাও করা হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami বিশেষ কোন শ্লোক বা মন্ত্র পাঠ করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা এবং শ্রীকৃষ্ণের গুণগান করে বিভিন্ন মন্ত্র পাঠ করা হয়, যেমন “ॐ ক্লীং কৃষ্ণায় গোবিন্দায় গোপীজনবল্লভায় স্বাহা”।

প্রশ্ন: দহি হান্ডি খেলা কোথায় বিশেষভাবে জনপ্রিয়?

উত্তর: দহি হান্ডি খেলা বিশেষভাবে মহারাষ্ট্রে জনপ্রিয়, বিশেষত মুম্বাই ও পুনেতে।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীর Janmashtami দিন শিশুদের জন্য কোন বিশেষ আয়োজন করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীর দিন শিশুদের শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার পোশাক পরিয়ে, তাঁদেরকে ‘বালকৃষ্ণ’ রূপে সজ্জিত করা হয়। বিভিন্ন স্কুল ও মন্দিরে শিশুদের জন্য কুইজ, ছবি আঁকা, এবং নাটকের আয়োজন করা হয়।

প্রশ্ন: মথুরায় জন্মাষ্টমী Janmashtami উদযাপনের বিশেষত্ব কী?

উত্তর: মথুরায় জন্মাষ্টমী উদযাপনে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে বড় আকারের ঝাঁকি বা মিছিল বের হয়, যা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ভক্তরা দেখতে আসেন।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami কোন রঙের পোশাক পরা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে সাদা, হলুদ, বা নীল রঙের পোশাক পরা হয়, যা শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় রঙ বলে মনে করা হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami কোন কোন সংগীত জনপ্রিয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে ভজন, সংকীর্তন, ও কৃষ্ণলীলা সংগীত জনপ্রিয়। এর মধ্যে “মহাভারতের” শ্রীকৃষ্ণের গান এবং “হরে কৃষ্ণ হরে রাম” কীর্তনগুলি বিশেষভাবে জনপ্রিয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীর Janmashtami প্রধান বার্তা কী?

উত্তর: জন্মাষ্টমীর প্রধান বার্তা হল শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ অনুযায়ী অধর্মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা এবং ধর্ম ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীর Janmashtami উপবাস কতক্ষণ ধরে রাখা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীর উপবাস সাধারণত মধ্যরাত পর্যন্ত রাখা হয়, অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণের জন্ম সময় পর্যন্ত। মধ্যরাতের পূজা ও প্রসাদ গ্রহণের পর উপবাস ভাঙা হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমী Janmashtami উদযাপনের সঙ্গে কৃষ্ণলীলা কীভাবে যুক্ত?

উত্তর: জন্মাষ্টমী উদযাপনের সময় কৃষ্ণলীলা নাটক বা পালা মঞ্চস্থ করা হয়, যেখানে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা প্রদর্শিত হয়। এটি ভক্তদের মধ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি আরও ভক্তি বৃদ্ধি করে।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে উপবাসের নিয়ম কী?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে উপবাসের নিয়ম হল দিনভর নিরামিষ আহার করা এবং কিছু ক্ষেত্রে নির্জলা উপবাস পালন করা। মধ্যরাতের পূজা শেষে প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে উপবাস ভাঙা হয়।

প্রশ্ন: কোন গ্রন্থে শ্রীকৃষ্ণে জন্ম ও জীবনের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও জীবনের কাহিনি মূলত শ্রীমদ্ভাগবত পুরাণ এবং মহাভারত গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কী ধরনের সাজসজ্জা করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দির, ঘরবাড়ি, ও পূজামঞ্চ ফুল, আলো, ও পবিত্র তিথির চিহ্ন দিয়ে সাজানো হয়। কিছু স্থানে শ্রীকৃষ্ণের ছোট মূর্তি বা বালগোপালের প্রতীক দিয়ে সাজসজ্জা করা হয়।

প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণের কোন অবতার?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণ ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হিসাবে পরিচিত। তিনি ধর্মের প্রতিষ্ঠা এবং অধর্মের বিনাশ করার জন্য অবতীর্ণ হয়েছিলেন।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কোন বিশেষ প্রসাদ বিতরণ করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সাধারণত মাখন, মিষ্টি দই, পঞ্চামৃত, ও লাড্ডু প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয়। ভক্তরা এই প্রসাদ গ্রহণ করেন ও অন্যদের মধ্যে বিতরণ করেন।

প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণের নাম কেন ‘মাখনচোর’ বলা হয়?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালে তিনি যশোদার ঘরে এবং প্রতিবেশীদের ঘরে মাখন চুরি করে খেতেন। এই কারণে তাঁকে ‘মাখনচোর’ বলা হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে কোন ভজন বিশেষভাবে গাওয়া হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে “রাধে কৃষ্ণ”, “গোবিন্দ বোলো”, ও “শ্রীকৃষ্ণ গোবিন্দ হরে মুরারি” প্রভৃতি ভজন বিশেষভাবে গাওয়া হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমী কেমন করে ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে একতা সৃষ্টি করে?

উত্তর: জন্মাষ্টমী উদযাপন ভক্তদের মধ্যে একতা ও ভ্রাতৃত্বের বোধ জাগ্রত করে, কারণ ভক্তরা একত্রিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম ও জীবনের স্মরণে আনন্দ ভাগ করে নেন।

প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণ কোন নীতির প্রবক্তা?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণ কর্মযোগ ও ভক্তিযোগের নীতির প্রবক্তা। তিনি গীতা উপদেশে কর্ম ও ভক্তির মাধ্যমে জীবন যাপনের পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami কোন রীতিতে উপবাস ভাঙা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে মধ্যরাতে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মুহূর্তে পূজা সম্পন্ন করার পর মিষ্টান্ন ও প্রসাদ গ্রহণ করে উপবাস ভাঙা হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami শ্রীকৃষ্ণের কোন লীলাকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের ‘গোবর্ধন ধারণ’ লীলাকে বিশেষভাবে স্মরণ করা হয়। এই লীলায় শ্রীকৃষ্ণ গোবর্ধন পর্বত তুলে বৃন্দাবনের জনগণকে বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্রের ক্রোধ থেকে রক্ষা করেছিলেন।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমী Janmashtami উদযাপনের সময় শোভাযাত্রার কী ভূমিকা?

উত্তর: জন্মাষ্টমী উদযাপনের সময় শোভাযাত্রা বা ঝাঁকি বের করা হয়, যেখানে শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা মূর্তির মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়। এটি ভক্তদের মধ্যে ধর্মীয় উদ্দীপনা সৃষ্টি করে।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami কোন পবিত্র নদীর স্নানের বিশেষ গুরুত্ব আছে?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে যমুনা নদীতে স্নান করা বিশেষ পুণ্যজনক বলে মনে করা হয়। এটি শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় নদী, এবং যমুনার জলে স্নান করলে পাপমোচন হয় বলে বিশ্বাস করা হয়।

প্রশ্ন: শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় ফুল কোনটি?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় ফুল হল তুলসী ও মালতী। পূজার সময় শ্রীকৃষ্ণের মূর্তিতে তুলসী ও মালতীর মালা নিবেদন করা হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami কীভাবে শ্রীকৃষ্ণের পূজা সম্পন্ন করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের পূজা সম্পন্ন করা হয় স্নান করিয়ে, নতুন পোশাক পরিয়ে, এবং মাখন, দই, ও মিষ্টি দিয়ে তাঁর মূর্তিকে সজ্জিত করে। এরপর মন্ত্র পাঠ ও ভজন গানের মাধ্যমে পূজা করা হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami শ্রীকৃষ্ণের কোন রূপের পূজা করা হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে শ্রীকৃষ্ণের বালক রূপ বা ‘বালগোপাল’ রূপের পূজা করা হয়, যেখানে তিনি ছোট বাচ্চার মতো সজ্জিত হন।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami রাধারানির ভূমিকা কী?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে রাধারানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাধারানিকে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমিকা ও ভক্তদের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অনেক স্থানে রাধা-কৃষ্ণের যুগল মূর্তির পূজা করা হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami কেন দুধ ও মাখনের প্রসাদ বিতরণ করা হয়?

উত্তর: শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় খাদ্য ছিল দুধ ও মাখন। জন্মাষ্টমীতে তাঁকে সন্তুষ্ট করার জন্য দুধ, মাখন, ও মিষ্টি প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করা হয়।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমীতে Janmashtami কোন ধরনের বিশেষ নৃত্য পরিবেশিত হয়?

উত্তর: জন্মাষ্টমীতে রাসলীলা নামে পরিচিত একটি বিশেষ নৃত্য পরিবেশিত হয়, যা শ্রীকৃষ্ণ ও গোপীদের মধ্যে ঘটে যাওয়া নৃত্যকে উপস্থাপন করে।

প্রশ্ন: জন্মাষ্টমী Janmashtami উদযাপনে কোন বয়সের লোকেরা বেশি অংশগ্রহণ করে?

উত্তর: জন্মাষ্টমী উদযাপনে সব বয়সের লোকেরা অংশগ্রহণ করে, তবে বিশেষ করে শিশুরা ও যুবকরা বেশি উৎসাহ নিয়ে অংশগ্রহণ করে। শিশুরা শ্রীকৃষ্ণের পোশাক পরে এবং যুবকরা দহি হান্ডি খেলায় অংশ নেয়।

সাম্প্রতিক আরো খবর, চাকরি এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য আমাদের WhatsApp চ্যানেল অনুসরণ করুন


Discover more from Infodata News

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

3 thoughts on “Janmashtami 2024 : শ্রীকৃষ্ণের পূজার সেরা দিন কোনটি? কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী 2024 কবে, কখন লাগবে? জন্মাষ্টমীর ইতিহাস কেন উদযাপিত হয়?”

  1. I loved as much as youll receive carried out right here The sketch is tasteful your authored material stylish nonetheless you command get bought an nervousness over that you wish be delivering the following unwell unquestionably come more formerly again since exactly the same nearly a lot often inside case you shield this hike

    Reply

Leave a Reply