নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন – পরাক্রম দিবস
Netaji Subhas Chandra Bose Birthday – Parakram Diwas
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অতুলনীয় যোদ্ধা এবং আদর্শবাদী নেতা। তাঁর জন্মদিন, যা প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি পালিত হয়, এখন পরাক্রম দিবস নামে পরিচিত। এই দিনটি ভারতের ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে, কারণ নেতাজির জীবন ও সংগ্রাম আমাদের জাতীয় গৌরব এবং দেশপ্রেমের প্রতীক।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম ও শৈশব
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্ম হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি, ওড়িশার কটকে। তাঁর পিতা জানকীনাথ বসু ছিলেন একজন বিশিষ্ট আইনজীবী এবং মাতা প্রভাবতী দেবী ছিলেন একজন ধর্মপরায়ণ মহিলা। সুভাষ ছিলেন তাঁদের চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে নবম।
শৈশব থেকেই সুভাষ অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন এবং নিজের আদর্শ এবং নীতির প্রতি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তাঁর পড়াশোনার প্রতি তীক্ষ্ণ মনোযোগ এবং দেশপ্রেমের প্রতি আগ্রহ তাঁকে বাকিদের থেকে আলাদা করে তুলেছিল।
শিক্ষাজীবন ও আদর্শের বিকাশ
সুভাষ চন্দ্র বসু কটকের র্যাভেনশ’ কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করেন এবং পরে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। সেখানে তিনি এক ব্রিটিশ অধ্যাপকের ভারতবিরোধী মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন, যার ফলে তাঁকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা শেষ করেন এবং পরে বিলেতে যান ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আই.সি.এস.) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে।
আই.সি.এস. পরীক্ষায় সফল হলেও, সুভাষ ব্রিটিশ সরকারের চাকরিতে যোগদানের পরিবর্তে দেশমাতৃকার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে প্রথমে যোগ দেন, তবে পরে নিজের স্বাধীন পথ বেছে নেন।
রাজনৈতিক জীবন
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা হিসেবে নিজের রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেন। তিনি ১৯৩৮ এবং ১৯৩৯ সালে জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। তাঁর নেতৃত্বে ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায়। নেতাজি বিশ্বাস করতেন যে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য শুধুমাত্র অহিংস আন্দোলন যথেষ্ট নয়। তাঁর মতে, স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম প্রয়োজন।
এই আদর্শের কারণে নেতাজির সাথে মহাত্মা গান্ধীর মতপার্থক্য তৈরি হয়। গান্ধীর অহিংস নীতির বিপরীতে সুভাষ বিশ্বাস করতেন সক্রিয় আন্দোলনে। এই কারণেই তিনি জাতীয় কংগ্রেস থেকে সরে এসে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করেন।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্ব
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ব্যক্তিত্ব ছিল বহুমাত্রিক। তিনি ছিলেন একজন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, আদর্শবাদী এবং অসীম সাহসিকতায় পরিপূর্ণ নেতা। তাঁর মধ্যে নেতৃত্বের সেই বিশেষ গুণ ছিল যা অন্যকে অনুপ্রাণিত করতে সক্ষম। তিনি কখনও অন্যায়ের সাথে আপস করেননি এবং নিজের আদর্শ থেকে সরে যাননি।
১. দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি:
নেতাজি তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অসীম ইচ্ছাশক্তি প্রদর্শন করেছিলেন। প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বহিষ্কৃত হওয়া, আই.সি.এস. ত্যাগ করা এবং স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়া—এসব সিদ্ধান্তের জন্য প্রচণ্ড মনোবল এবং সাহস প্রয়োজন ছিল।
২. কৌশলী নেতৃত্ব:
নেতাজি একজন কৌশলী নেতা ছিলেন। তিনি জানতেন কীভাবে জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হয়। তাঁর নেতৃত্বে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন এবং এর মাধ্যমে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল প্রমাণ করে যে তিনি কতটা বিচক্ষণ ছিলেন।
৩. উদ্দীপনামূলক ভাষণ:
নেতাজির ভাষণ ছিল অগ্নিময় এবং উদ্দীপনামূলক। তাঁর বক্তব্যে এমন শক্তি ছিল যা মানুষের মনকে আন্দোলিত করত। তাঁর “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” স্লোগান ভারতীয় যুবসমাজকে স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
৪. আত্মত্যাগের মানসিকতা:
নেতাজি বিশ্বাস করতেন যে দেশের স্বাধীনতার জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করা সবচেয়ে বড় ত্যাগ। নিজের আরাম-আয়েশ, পরিবার এবং ভবিষ্যৎ সবকিছু তিনি ত্যাগ করেছিলেন স্বাধীনতার সংগ্রামে।
নেতাজির আদর্শ ও চিন্তাধারা
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর চিন্তাধারা এবং আদর্শ আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামী নন, একজন দার্শনিক এবং স্বপ্নদ্রষ্টাও ছিলেন। তাঁর চিন্তাগুলি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটি উন্নত ভারতের ভিত্তি স্থাপন করতে সাহায্য করেছিল।
১. সামাজিক সাম্য:
নেতাজি বিশ্বাস করতেন একটি সমতাভিত্তিক সমাজে। তিনি চেয়েছিলেন একটি এমন ভারত যেখানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ বা লিঙ্গের ভিত্তিতে কোনো বৈষম্য থাকবে না।
২. নারীর ক্ষমতায়ন:
নেতাজি নারীদের ক্ষমতায়নের পক্ষে ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে স্বাধীনতা সংগ্রামে নারীদের সমান অংশগ্রহণ জরুরি। তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজে ঝাঁসির রানি রেজিমেন্ট গঠন করে নারীদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছিলেন।
৩. আত্মনির্ভরতা:
নেতাজি সবসময় আত্মনির্ভর ভারত গড়ার কথা বলেছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন যে ভারতীয়রা বিদেশি শক্তির উপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াক।
৪. বৈদেশিক নীতি:
নেতাজি আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন। তিনি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে ভারতের স্বাধীনতার জন্য সমর্থন আদায় করেছিলেন। জাপান, জার্মানি এবং ইতালির মতো দেশগুলির সহযোগিতা পাওয়া তাঁর দূরদর্শিতার পরিচায়ক।
আরো পড়ুন – আজকের দিনের খবর
আজাদ হিন্দ ফৌজ ও আইএনএ
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য অবদান হল আজাদ হিন্দ ফৌজ বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (আইএনএ) গঠন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি জাপানের সহযোগিতায় ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ গড়ে তোলেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের স্লোগান “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” ভারতীয় জনগণের মধ্যে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছিল।
আজাদ হিন্দ ফৌজের লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতকে স্বাধীন করা। এই সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নেতাজি ইম্ফল এবং কোহিমা পর্যন্ত অগ্রসর হন, যদিও শেষ পর্যন্ত জাপানের পরাজয়ের কারণে এই প্রচেষ্টা সফল হয়নি।
নেতাজির আদর্শ ও উত্তরাধিকার
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর আদর্শ আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। তাঁর নেতৃত্ব, দৃঢ়তা এবং আত্মত্যাগ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে দেশের স্বাধীনতার জন্য কী পরিমাণ ত্যাগ ও পরিশ্রম প্রয়োজন।
নেতাজি বিশ্বাস করতেন যে একটি শক্তিশালী ও আত্মনির্ভর জাতি গঠনের জন্য যুব সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন। তাঁর শিক্ষা এবং দর্শন আজও আমাদের জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
নেতাজির জীবন থেকে নেওয়া শিক্ষাগুলি
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন এবং কর্ম থেকে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা নিতে পারি।
১. সাহস এবং আত্মবিশ্বাস:
কঠিন পরিস্থিতিতেও সাহস এবং আত্মবিশ্বাস ধরে রাখা জীবনের এক অন্যতম পাঠ। নেতাজি দেখিয়েছেন যে দুঃসাহসিক কাজের মাধ্যমেই বড় পরিবর্তন সম্ভব।
২. ত্যাগের মূল্য:
নিজের স্বার্থ ত্যাগ করে দেশের জন্য কাজ করাই প্রকৃত দেশপ্রেম।
৩. ঐক্যের শক্তি:
নেতাজি বিশ্বাস করতেন যে ঐক্যের মাধ্যমে সব বাধা অতিক্রম করা যায়। তিনি ধর্ম, বর্ণ এবং ভাষার ভেদাভেদ ভুলে সকল ভারতীয়কে একত্রিত হতে বলেছিলেন।
৪. নেতৃত্বের গুণ:
নেতৃত্ব মানে শুধু আদেশ দেওয়া নয়, বরং নিজের কাজ দিয়ে মানুষকে অনুপ্রাণিত করা।
নেতাজির অন্তর্ধান
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন রহস্যে মোড়া। ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট একটি বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে দাবি করা হয়। তবে, তাঁর মৃত্যু নিয়ে আজও বিভিন্ন ধরণের তত্ত্ব এবং বিতর্ক বিদ্যমান। অনেকেই মনে করেন তিনি দুর্ঘটনায় মারা যাননি, বরং জীবনের শেষ পর্যায়ে গোপনে কোথাও আশ্রয় নিয়েছিলেন।
পরাক্রম দিবস: এক নতুন সূচনা
২০২১ সাল থেকে ভারত সরকার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিনটি নেতাজির সাহস, আত্মত্যাগ এবং নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উদযাপন করা হয়। এই উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেমন:
- নেতাজির জীবনের উপর আলোচনা সভা
- বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেশপ্রেমমূলক কার্যক্রম
- নেতাজি সম্পর্কিত প্রদর্শনী এবং সেমিনার
- আজাদ হিন্দ ফৌজের বীরত্বগাঁথা নিয়ে নাটক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী
পরাক্রম দিবসের গুরুত্ব
১. দেশপ্রেম জাগরণ: এই দিনটি জাতীয়তাবাদ এবং দেশপ্রেমের অনুভূতি উদ্দীপিত করে।
২. নেতাজির অবদান স্মরণ: নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জীবন এবং তাঁর বীরত্বগাঁথাকে স্মরণ করার মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মকে তাঁর আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা হয়।
৩. সামাজিক সংহতি: এই দিনটি ভারতের বিভিন্ন সম্প্রদায় এবং অঞ্চলের মানুষকে একত্রিত করার একটি সুযোগ তৈরি করে।
৪. ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা: আমাদের স্বাধীনতার জন্য নেতাজি এবং তাঁর মতো অন্যান্য বিপ্লবীদের ত্যাগকে সম্মান জানানো হয়।
পরাক্রম দিবসের উদযাপন
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন পরাক্রম দিবস হিসেবে উদযাপন করার অর্থ হলো তাঁর সাহসিকতা, আত্মত্যাগ, এবং নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। এই দিনটি একাধারে ঐতিহাসিক এবং প্রাসঙ্গিক।
১. সরকারি অনুষ্ঠান:
ভারত সরকার ২৩ জানুয়ারি দিনটি বিশেষভাবে উদযাপনের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম আয়োজন করে। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি মূর্তির উন্মোচন এবং নেতাজির বীরত্বগাঁথা স্মরণ করা হয়।
২. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিতে আলোচনা সভা:
বিদ্যালয়, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে নেতাজির জীবনী নিয়ে আলোচনা এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
৩. ঝাঁসির রানি রেজিমেন্টের সম্মাননা:
এই দিনটি নারীদের ক্ষমতায়ন এবং ঝাঁসির রানি রেজিমেন্টের সদস্যদের অবদানের কথা স্মরণ করার জন্য বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
৪. সংস্কৃতি ও ক্রীড়া কার্যক্রম:
পরাক্রম দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে যুব সমাজকে দেশপ্রেম এবং ঐক্যের বার্তা দেওয়া হয়।
৫. প্রদর্শনী ও নাটক:
নেতাজি এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের ইতিহাসকে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং নাটকের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে মানুষ নেতাজির সংগ্রাম সম্পর্কে আরও বিশদে জানতে পারে।
আরো পড়ুন :: Important Days in January 2025
ভারতীয় প্রেক্ষাপটে পরাক্রম দিবসের তাৎপর্য
আজকের ভারতের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পরাক্রম দিবস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটি শুধু নেতাজিকে স্মরণ করার দিন নয়, বরং নতুন প্রজন্মকে তার মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ।
১. দেশপ্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তোলা:
পরাক্রম দিবস আমাদের তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেম এবং আত্মনির্ভরতার বার্তা দেয়।
২. ঐতিহাসিক চেতনার জাগরণ:
নেতাজি এবং আজাদ হিন্দ ফৌজের ইতিহাসকে তুলে ধরা এবং এর মাধ্যমে মানুষকে নিজেদের গৌরবময় অতীত সম্পর্কে সচেতন করা হয়।
৩. জাতীয় ঐক্যের বার্তা:
নেতাজি যেমন জাতীয় ঐক্যের উপর জোর দিয়েছিলেন, তেমনই পরাক্রম দিবস মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রেরণা দেয়।
উপসংহার
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু শুধুমাত্র একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন না, তিনি ছিলেন ভারতের ভবিষ্যতের স্বপ্নদ্রষ্টা। তাঁর জীবন, আদর্শ, এবং সংগ্রাম আমাদের আজও পথ দেখায়। পরাক্রম দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে সাহসিকতা, আত্মত্যাগ, এবং দেশপ্রেমের মাধ্যমে আমরা যে কোনো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারি।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন এবং পরাক্রম দিবস ভারতের ইতিহাসে শুধু একটি স্মৃতিচারণ নয়, বরং একটি অনুপ্রেরণার উৎস। তাঁর জীবন ও কর্ম আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ, এবং সাহস দিয়ে কীভাবে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। এই দিনটি আমাদের নতুন প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখায় এবং একটি আত্মনির্ভর ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য অনুপ্রাণিত করে।
আজকের দিনে আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করতে পারি যে নেতাজির দেখানো পথে চলব এবং একটি শক্তিশালী, ঐক্যবদ্ধ, এবং আত্মনির্ভর ভারত গড়ার জন্য কাজ করব।
জয় হিন্দ!
সাধারণত জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী FAQ’s
প্রশ্ন: পরাক্রম দিবস কবে উদযাপন করা হয়?
উত্তর: পরাক্রম দিবস প্রতি বছর ২৩ জানুয়ারি উদযাপন করা হয়।
প্রশ্ন: পরাক্রম দিবস কেন উদযাপন করা হয়?
উত্তর: পরাক্রম দিবস নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিবস উপলক্ষে তাঁর সাহসিকতা, দেশপ্রেম এবং ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উদযাপন করা হয়।
প্রশ্ন: পরাক্রম দিবস প্রথম কবে উদযাপন করা হয়?
উত্তর: পরাক্রম দিবস প্রথম ২০২১ সালে উদযাপন করা হয়।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ১৮৯৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওড়িশার কটকে জন্মগ্রহণ করেন।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পিতার নাম কী ছিল?
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর পিতার নাম ছিল জানকীনাথ বসু।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মাতার নাম কী ছিল?
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মাতার নাম ছিল প্রভাবতী দেবী।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছিলেন?
উত্তর: নেতাজি প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেছিলেন।
প্রশ্ন: আই.সি.এস পরীক্ষায় সফল হওয়া সত্ত্বেও নেতাজি সেই চাকরি গ্রহণ করেননি কেন?
উত্তর: নেতাজি সেই চাকরি গ্রহণ করেননি কারণ তিনি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে কাজ করতে চাননি।
প্রশ্ন: “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” এই বিখ্যাত উক্তিটি কে করেছিলেন?
উত্তর: এই বিখ্যাত উক্তিটি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু করেছিলেন।
প্রশ্ন: আজাদ হিন্দ ফৌজ কবে গঠন করা হয়?
উত্তর: আজাদ হিন্দ ফৌজ ১৯৪২ সালে গঠন করা হয়।
প্রশ্ন: আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান লক্ষ্য কী ছিল?
উত্তর: আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান লক্ষ্য ছিল ভারতের স্বাধীনতা অর্জন করা।
প্রশ্ন: “জয় হিন্দ” শব্দটি কে প্রচলন করেছিলেন?
উত্তর: “জয় হিন্দ” শব্দটি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রচলন করেছিলেন।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কবে ভারত ছাড়েন?
উত্তর: নেতাজি ১৯৪১ সালে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ভারত ছাড়েন।
প্রশ্ন: নেতাজি কোন দেশগুলির সাহায্য নিয়েছিলেন?
উত্তর: নেতাজি জার্মানি, জাপান এবং ইতালির মতো দেশগুলির সাহায্য নিয়েছিলেন।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ডাকনাম কী ছিল?
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ডাকনাম ছিল “দেশনায়ক।”
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কবে ফিল্ড মার্শাল পদ গ্রহণ করেন?
উত্তর: নেতাজি ১৯৪৩ সালে আজাদ হিন্দ ফৌজের ফিল্ড মার্শাল পদ গ্রহণ করেন।
প্রশ্ন: আজাদ হিন্দ সরকারের রাজধানী কোথায় ছিল?
উত্তর: আজাদ হিন্দ সরকারের রাজধানী ছিল সিঙ্গাপুর।
প্রশ্ন: আজাদ হিন্দ ফৌজের পতাকায় কী ছিল?
উত্তর: আজাদ হিন্দ ফৌজের পতাকায় ছিল একটি বাঘ।
প্রশ্ন: নেতাজি কবে “আজাদ হিন্দ সরকার” ঘোষণা করেন?
উত্তর: নেতাজি ১৯৪৩ সালের ২১ অক্টোবর “আজাদ হিন্দ সরকার” ঘোষণা করেন।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কোন উপাধি পান?
উত্তর: নেতাজি উপাধিটি তাঁকে ভারতের মানুষ ভালোবাসার সঙ্গে প্রদান করেন।
প্রশ্ন: “ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি” কে গঠন করেছিলেন?
উত্তর: “ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি” নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু গঠন করেছিলেন।
প্রশ্ন: নেতাজির মতে, স্বাধীনতার জন্য কী প্রয়োজন?
উত্তর: নেতাজির মতে, স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগ এবং কঠোর সংগ্রামের প্রয়োজন।
প্রশ্ন: নেতাজির বিখ্যাত বইয়ের নাম কী?
উত্তর: নেতাজির বিখ্যাত বইয়ের নাম “দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল।”
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কোন সালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন?
উত্তর: নেতাজি ১৯৩৮ সালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন।
প্রশ্ন: নেতাজি দ্বিতীয়বার কংগ্রেসের সভাপতি কবে হন?
উত্তর: নেতাজি ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয়বার কংগ্রেসের সভাপতি হন।
প্রশ্ন: নেতাজি কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন কেন?
উত্তর: কংগ্রেসের কিছু নেতার সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় নেতাজি পদত্যাগ করেন।
প্রশ্ন: “চল কলকাতা অভিযান” কী?
উত্তর: “চল কলকাতা অভিযান” নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের ভারতমুখী অভিযান ছিল।
প্রশ্ন: পরাক্রম দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর: ভারতের যুবসমাজকে নেতাজির জীবন এবং আদর্শ সম্পর্কে সচেতন করা।
প্রশ্ন: নেতাজির মৃত্যু সম্পর্কে কোন বিষয়টি আজও বিতর্কিত?
উত্তর: ১৯৪৫ সালের বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজির মৃত্যু বিতর্কিত একটি বিষয়।
প্রশ্ন: “তোমরা আমাকে রক্ত দাও” বক্তৃতাটি কোথায় দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: এই বক্তৃতাটি বার্মায় দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন: পরাক্রম দিবস কোন প্রকার সরকারী ছুটি?
উত্তর: পরাক্রম দিবস ভারতে একটি স্মরণীয় দিন হিসেবে পালিত হয়, তবে এটি সরকারী ছুটি নয়।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর শিক্ষাজীবনের শুরু কোথায় হয়েছিল?
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর শিক্ষাজীবনের শুরু কটকের রাভেনশ হাই স্কুলে হয়েছিল।
প্রশ্ন: নেতাজি কোন বছর আই.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন?
উত্তর: নেতাজি ১৯২০ সালে আই.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
প্রশ্ন: আজাদ হিন্দ ফৌজের স্লোগান কী ছিল?
উত্তর: আজাদ হিন্দ ফৌজের স্লোগান ছিল “ইনকিলাব জিন্দাবাদ” এবং “জয় হিন্দ।”
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কোন সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ফরওয়ার্ড ব্লক নামক একটি রাজনৈতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রশ্ন: “ফরওয়ার্ড ব্লক” কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?
উত্তর: “ফরওয়ার্ড ব্লক” ১৯৩৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রশ্ন: নেতাজি কোন বৃত্তিতে ইউরোপে পড়তে যান?
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু প্রেসিডেন্সি বৃত্তি নিয়ে ইউরোপে পড়তে যান।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ব্রিটিশ শাসনকে কী নামে অভিহিত করেছিলেন?
উত্তর: নেতাজি ব্রিটিশ শাসনকে “অমানবিক শাসন” নামে অভিহিত করেছিলেন।
প্রশ্ন: নেতাজি জাপানের সাহায্যে কোন সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছিলেন?
উত্তর: নেতাজি জাপানের সাহায্যে “ইম্ফল অভিযান” পরিচালনা করেছিলেন।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কবে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন?
উত্তর: নেতাজি ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বিখ্যাত উক্তি “স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে” কোন ভাষণে বলা হয়েছিল?
উত্তর: এটি তাঁর “ভারত ছাড়ো আন্দোলন” সম্পর্কিত ভাষণে বলা হয়েছিল।
প্রশ্ন: পরাক্রম দিবস উদযাপন কোথায় সর্বাধিক জনপ্রিয়?
উত্তর: পরাক্রম দিবস পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় সর্বাধিক জনপ্রিয়।
প্রশ্ন: নেতাজি কোন ভাষায় সবচেয়ে দক্ষ ছিলেন?
উত্তর: নেতাজি ইংরেজি, বাংলা এবং হিন্দি ভাষায় দক্ষ ছিলেন।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্ত্রী ছিলেন এমিলি শেঙ্কল।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মেয়ের নাম কী ছিল?
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মেয়ের নাম ছিল অনিতা বসু।
প্রশ্ন: নেতাজি কোন দেশ থেকে আজাদ হিন্দ সরকারের কার্যক্রম শুরু করেন?
উত্তর: নেতাজি সিঙ্গাপুর থেকে আজাদ হিন্দ সরকারের কার্যক্রম শুরু করেন।
প্রশ্ন: “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” কোথায় দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: এটি বার্মায় এক সভায় বলা হয়েছিল।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রিয় বই কোনটি ছিল?
উত্তর: নেতাজির প্রিয় বই ছিল ভগবদ্গীতা।
প্রশ্ন: পরাক্রম দিবস উপলক্ষে স্কুলে কী ধরণের কার্যক্রম আয়োজিত হয়?
উত্তর: পরাক্রম দিবস উপলক্ষে স্কুলে দেশাত্মবোধক গান, বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
প্রশ্ন: আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান যুদ্ধ কৌশল কী ছিল?
উত্তর: আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান যুদ্ধ কৌশল ছিল গেরিলা যুদ্ধ।
প্রশ্ন: “জয় হিন্দ” শব্দটি কার দ্বারা অনুপ্রাণিত?
উত্তর: “জয় হিন্দ” শব্দটি নেতাজির নিজের ভাবনা এবং দেশপ্রেম দ্বারা অনুপ্রাণিত।
প্রশ্ন: নেতাজি কাকে “মাতৃভূমি” বলতে বেশি ভালোবাসতেন?
উত্তর: নেতাজি ভারতের প্রতি গভীর ভালোবাসার কারণে তাঁকে “মাতৃভূমি” বলতে ভালোবাসতেন।
প্রশ্ন: পরাক্রম দিবসে ভারতের কোন রাষ্ট্রপতি প্রথমবার অংশগ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর: রামনাথ কোবিন্দ ২০২১ সালে প্রথমবার পরাক্রম দিবসে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
প্রশ্ন: আজাদ হিন্দ ফৌজের পতাকার রঙ কী ছিল?
উত্তর: আজাদ হিন্দ ফৌজের পতাকার রঙ ছিল ত্রিবর্ণ — সবুজ, সাদা এবং কমলা।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কোন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে যোগদান করেন?
উত্তর: নেতাজি অসহযোগ আন্দোলনে যোগদান করেন।
প্রশ্ন: নেতাজি কাকে ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন?
উত্তর: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু নিজেকে আজাদ হিন্দ সরকারের রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।
প্রশ্ন: নেতাজির জীবন থেকে কী শিক্ষা নেওয়া যায়?
উত্তর: দেশপ্রেম, ত্যাগ এবং সাহসিকতার শিক্ষা নেওয়া যায়।
প্রশ্ন: নেতাজি কোথায় “ইন্ডিয়ান লিগ” প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: নেতাজি জার্মানিতে “ইন্ডিয়ান লিগ” প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রশ্ন: পরাক্রম দিবসের বার্তা কী?
উত্তর: পরাক্রম দিবসের বার্তা হলো দেশপ্রেম এবং সাহসিকতার চেতনা বৃদ্ধি করা।
প্রশ্ন: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে “পরাক্রমী নেতা” বলা হয় কেন?
উত্তর: তাঁর অদম্য সাহস এবং দেশের প্রতি অসীম ভালোবাসার জন্য তাঁকে “পরাক্রমী নেতা” বলা হয়।
সাম্প্রতিক আরো খবর, চাকরি এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য আমাদের WhatsApp চ্যানেল অনুসরণ করুন
Discover more from InfodataNews
Subscribe to get the latest posts sent to your email.