Nil Sasthi 2024: নীল ষষ্ঠী ব্রত উদযাপন কেন করা হয় ?
Nil Sasthi 2024: নীল ষষ্ঠী প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তির ঠিক আগের দিন পালন করা হয় । নীল ষষ্ঠীর পরের দিন হল চৈত্র মাসের শেষ দিন বা চৈত্র সংক্রান্তি । আর তার পরের দিন পয়লা বৈশাখ বা বৈশাখ মাসের প্রথম দিন যা বাংলা নববর্ষের সূচনা করে।
‘নীলের ঘরে দিয়ে বাতি, জল খাওগো পুত্রবতী।’
নীল ষষ্ঠী উপলক্ষ্যে বাংলার মায়েরা পুত্র কন্যা সবার মঙ্গলের জন্যই নীল ষষ্ঠীর উপবাস রাখেন এবং প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তির ঠিক আগের দিন পালন করেন নীল ষষ্ঠী ব্রত। এই ব্রতের উদ্দেশ্য হল সন্তানের সুখ, সুস্বাস্থ্য সৌভাগ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনা ।
Nil Sasthi 2024: নীল ষষ্ঠী ২০২৪ দিনক্ষণ
এই বছর আগামী ১৪ এপ্রিল রবিবার পালিত হবে পয়লা বৈশাখ।
তার আগের দিন ১৩ এপ্রিল শনিবার হল চৈত্র সংক্রান্তি এবং
তার আগের দিন ১২ এপ্রিল ২০২৪ শুক্রবার হল নীল ষষ্ঠী।
Nil Sasthi 2024: নীল ষষ্ঠী ব্রত কিভাবে উদযাপন করা হয় ?
বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এই তেরো পার্বণেরই অন্যতম হল নীল ষষ্ঠীর ব্রত। বাংলার মায়েরা সারাদিন ষষ্ঠীর উপবাস রাখেন ও ব্রত রেখে মায়েরা সন্ধ্যালগ্নে শিবের মাথায় জল ঢালেন । শিবলিঙ্গে জল ঢেলে, মহাদেবের পুজো করে, শিব শংকরের প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন।
Nil Sasthi 2024: নীল ষষ্ঠী ব্রত উদযাপন কেন করা হয় ?
শিবের অপর নাম নীলকণ্ঠ বা নীল। অনেকের মতে এই দিনে , শিবের সঙ্গে নীলচণ্ডিকা বা নীলাবতী পরমেশ্বরীর বিয়ে উপলক্ষ্যে লৌকিক আচার-অনুষ্ঠান সংঘটিত হয়েছিল। শোনা যায়, দক্ষযজ্ঞে সতীর দেহত্যাগের পর সতী পুনরায় আবির্ভূত হন নীলধ্বজ রাজার বিল্ববনে ৷ এরপর রাজা তাকে নিজের মেয়ের মতো করে বড় করে শিবের সঙ্গে ফের বিয়ে দেন ৷
বাসর ঘরে মক্ষিপারূপ ধরে মৃত্যুবরণ করেন তিনি ৷ তা দেখে শোকে রাজা- রানিও প্রাণ বিসর্জন দেন ৷ তাই অনেকে বিশ্বাস করেন ‘নীল পূজা হল শিব ও নীলাবতীর বিবাহের স্মারক ৷
Chaitra 1430: চৈত্র মাসের ক্যালেন্ডার 2024
অন্য একটি মতানুসারে, পুরাকালে এক বামুন আর বামুনী ছিলেন। তারা অতি ভক্তি ভরে নানা ব্রত পালন করলেও তাদের সন্তান জন্ম গ্রহণ করলেও বেশিদিন বাঁচত না। বামুন আর বামুনী একদিন কাশীর গঙ্গা ঘাটের ওপর বসে দুজনে দুঃখে কাঁদছিলেন তারা। তাদের দুঃখ দেখে মা ষষ্ঠী, বুড়ি বামনীর বেশ ধরে এসে তাদের জিজ্ঞাসা করেন “তোরা কাঁদছিস কেন?”
বামুনী তার দুঃখের কথা বিস্তারে জানালে, মা ষষ্ঠী তাদের প্রশ্ন করেন, “তোরা কি নীল ষষ্ঠী ব্রত করেছিস কখনো ?” বামনী উত্তর দেয়, “না মা , আমরা এই ব্রত তো জানি না।” তখন মা তাদের বলেন, “সমস্ত চৈত্র মাস সন্ন্যাস করে শিব পুজো করবে, তারপর সংক্রান্তির আগের দিন, সমস্ত দিন উপোষ করে সন্ধে নাগাদ নীলাবতীর পুজো করে নীলকণ্ঠ শিবের ঘরে বাতি জ্বালিয়ে , মা ষষ্ঠীকে প্রণাম করে তবে জল খাবে।
ঐ দিনটিকে বলা হয় নীল ষষ্ঠীর। যে সমস্ত মায়েরা নীলষষ্ঠী ব্রত করে তাঁদের ছেলে মেয়ে কখনও অল্প বয়সে মরে না।” একথা বলেই বামনী বেশে মা ষষ্ঠী অদৃশ্য হয়ে যান । এরপর থেকে বামুন ও বামনী ভক্তি ভরে নীলষষ্ঠীর পুজো শুরু করেন। এরপর থেকে তাদের ছেলেমেয়েরা সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকে আর বিপদ ঘটেনি। এভাবেই শুরু হয় নীলষষ্ঠীর পুজো।
সাম্প্রতিক খবর, চাকরি এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য আমাদের WhatsApp চ্যানেল অনুসরণ করুন
Discover more from Infodata News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.