Sandhi Puja Time: দুর্গা পূজা বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় উৎসব, যা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং সাংস্কৃতিক উন্মাদনার মহাসমারোহ। এই উৎসবের মধ্যে সন্ধি পূজা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, যা মহাষ্টমী এবং মহানবমীর সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয়। এটি দেবী দুর্গার চণ্ডমুণ্ড নিধনের স্মৃতি কোরে। ২০২৫ সালের দুর্গা পূজায় এই পূজা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। এই নিবন্ধে আমরা সন্ধি পূজার তারিখ, সময়, আচার এবং তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করব।
২০২৫ সালের দূর্গা পূজা কবে?
২০২৫ সালের দুর্গা পূজা অশ্বিন মাসে উদযাপিত হবে, যা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে সেপ্টেম্বরের শেষভাগ থেকে অক্টোবরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত বিস্তৃত। পঞ্জিকামতো পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্তের তিথিগুলি নিম্নরূপ, যাতে সন্ধি পূজা এবং অঞ্জলীর সময়কাল অন্তর্ভুক্ত:
- পঞ্চমী (২৭ সেপ্টেম্বর): পূজার প্রস্তুতির দিন।
- ষষ্ঠী (২৮ সেপ্টেম্বর, রবিবার): দেবীর প্রত্যক্ষদর্শন এবং বোধন।
- সপ্তমী (২৯ সেপ্টেম্বর, সোমবার): নবপত্রিকা স্নান এবং কলা বৌ পূজা।
- অষ্টমী (৩০ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার): ধুনুচি নাচ, আন্তর্জাতিক এবং সন্ধি পূজার প্রধান দিন।
- নবমী (১ অক্টোবর, বুধবার): মহানবমী পূজা এবং কুমারী পূজা।
- দশমী (২ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার): বিসর্জন এবং সিঁদুর খেলা।
এই তারিখগুলিতে অঞ্জলীর সময়কাল পঞ্জিকায় উল্লেখিত, যা প্রত্যেক দিনের নির্দিষ্ট সময়ে পালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গে এই সময়ে ব্যাঙ্ক এবং সরকারি কার্যালয় বন্ধ থাকবে, যা উৎসবের উল্লাসকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
Sandhi Puja Time: সন্ধি পূজা কখন হয়?
Sandhi Puja Time,সন্ধি পূজা অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমী তিথির প্রথম ২৪ মিনিটের সন্ধিক্ষণে, অর্থাৎ মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। এটি দিনের যেকোনো সময় ঘটতে পারে, তবে ২০২৫ সালে কলকাতায় এটি ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫:৪৩ থেকে ৬:৩১ পর্যন্ত হবে। এই সময়টি ‘সন্ধিকাল’ নামে পরিচিত এবং এটি অত্যন্ত শুভ বলে বিবেচিত। পূজার সময় ধুনuchi জ্বালানো এবং চণ্ডী পাঠের মাধ্যমে দেবীর ক্রোধরূপ চামুন্ডা দেবীর আবাহন করা হয়।
সন্ধি পূজার আচার
সন্ধি পূজা দুর্গা পূজার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আচারগুলির একটি, যা বিশেষভাবে প্রস্তুতি নিয়ে সম্পন্ন করা হয়। প্রধান আচারগুলি নিম্নরূপ:
- প্রস্তুতি: পূজাস্থান পরিষ্কার করে দেবীর মূর্তির সামনে ১০৮টি প্রদীপ (দীপমালা) জ্বালানো হয়। ১০৮টি পদ্ম ফুল, বেলপাতার মালা, জবা ফুলের মালা, একটি লাল ফল (যেমন আপেল), চালের দানা, সিঁদুর এবং চন্দন দিয়ে সাজানো হয়।
- মন্ত্রোচ্চারণ: ‘দেবী প্রসাদ পরিপালয়’ মন্ত্র পাঠ করে চামুন্ডা দেবীর আবাহন করা হয়। চণ্ডী পাঠ এবং দুর্গা সপ্তশতী পাঠ অবিরত চলে।
- বলিদান: ঐতিহ্যগতভাবে চণ্ডমুণ্ড নিধনের স্মরণে বলিদান (প্রায়শই প্রতীকী) করা হয়, যদিও আধুনিক সময়ে এটি কম দেখা যায়।
- আরতি এবং পুষ্পাঞ্জলি: আরতির পর পরিবারের সদস্যরা পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করেন। অনেক নারী এই পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত উপবাস পালন করেন।
এই আচারগুলি সম্প্রদায়ভিত্তিকভাবে পালিত হয়, যা উৎসবের সামষ্টিকতাকে তুলে ধরে। পঞ্জিকামতো অঞ্জলীর সময়কালও এই আচারের সাথে যুক্ত।
সন্ধি পূজার তাৎপর্য
সন্ধি পূজার তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। পুরাণ অনুসারে, এই সন্ধিক্ষণে দেবী দুর্গা তার ক্রোধে তৃতীয় নয়ন খুলে চামুন্ডা রূপ ধারণ করেন এবং চণ্ড ও মুণ্ড নামক দুই রাক্ষসের বধ করেন। এটি ভালোবাসার উপর অশুভের জয়ের প্রতীক। এছাড়া, রামায়ণে এই সময় রাম অকালবোধন করে দুর্গাকে আহ্বান করেন এবং লঙ্কা বিজয় লাভ করেন।
আধ্যাত্মিকভাবে, এটি সত্যের জয়, আলোর বিজয় এবং নারীশক্তির উদযাপন। সমাজে এটি ঐক্য এবং ধৈর্যের বার্তা দেয়। দুর্গা পূজার এই অংশটি ভক্তদের মনে শক্তি এবং আশীর্বাদের অনুভূতি জাগায়, যা উৎসবকে আরও অর্থবহ করে তোলে।
সন্ধি পূজা দিয়ে দুর্গা পূজা তার চূড়ান্ত উচ্চতায় পৌঁছায়। এই উৎসবে সকলে অংশগ্রহণ করে দেবীর আশীর্বাদ লাভ করুন। শুভ দুর্গা পূজা!
Durga Puja 2027 Date: দুর্গা পূজা ২০২৭ তারিখ, নির্ঘণ্ট
Durga Puja 2026 Date: দুর্গা পূজা ২০২৬ তারিখ , নির্ঘণ্ট
👉 আমাদের ফলো করুন:
📰 ট্রেন্ডিং খবর | 📢 জরুরি আপডেট | 💼 নতুন চাকরির সুযোগ
🟢 হোয়াটসঅ্যাপ | 🔵 টেলিগ্রাম
🔵 লিঙ্কডইন | 🔵 থ্রেড | 🔵 ফেসবুক | 🔵 ইনস্টাগ্রাম | 🔵 টাম্বলার
Discover more from
Subscribe to get the latest posts sent to your email.