Smart Mosquito Surveillance System 2025: অন্ধ্রপ্রদেশে মশা মারতে AI জাদু!

Smart Mosquito Surveillance System:বর্ষাকাল মানেই মশার উপদ্রব! ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো রোগের ভয়ে আমরা সবাই কমবেশি চিন্তিত থাকি। কিন্তু এবার অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার নিয়ে এলো এক অভিনব সমাধান। তারা চালু করতে চলেছে ‘স্মার্ট মশা নজরদারি ব্যবস্থা’ বা SMoSS। এটা কিন্তু সাধারণ কোনো পদ্ধতি নয়, এতে কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) প্রযুক্তি। শুনতে অবাক লাগলেও, এটা মশার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একেবারে নতুন দিশা দেখাচ্ছে।

 Smart Mosquito Surveillance System (SMoSS) :

আমরা তো সাধারণত মশা মারতে ফগিং বা স্প্রে করি, কিন্তু অনেক সময় তাতে তেমন কাজ হয় না। এই নতুন সিস্টেমটা একদম আলাদা। এখানে এআই-চালিত সেন্সর ব্যবহার করা হবে, যেগুলো মশার ধরন, তাদের সংখ্যা, এমনকি আবহাওয়ার তাপমাত্রা আর আর্দ্রতাও মাপবে।

এই সেন্সরগুলো মশার ঘনত্ব বেশি হলেই সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক সংকেত পাঠাবে। ফলে কোথায়, কখন স্প্রে করতে হবে, তা ঠিকঠাক বোঝা যাবে। এতে অযথা ওষুধ ছড়ানোর দিন শেষ!

এছাড়া, এই সিস্টেমে ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ড্রোন দিয়ে লার্ভিসাইড স্প্রে করা হবে, যা মশার প্রজনন বন্ধ করতে সাহায্য করবে। এতে সময়, টাকা আর রাসায়নিকের ব্যবহার অনেক কম হবে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার, সব তথ্য একটা রিয়েল-টাইম ড্যাশবোর্ডে দেখা যাবে। অর্থাৎ, কোথায় মশার উপদ্রব বেশি, তা এক নজরে বোঝা যাবে।

কোথায় চলবে এই প্রকল্প?

এই প্রকল্প ( Smart Mosquito Surveillance System)প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হবে অন্ধ্রপ্রদেশের ছয়টি বড় শহরে— বিশাখাপত্তনম (১৬টি জায়গায়), বিজয়ওয়াড়া (২৮টি জায়গায়), কাকিনাড়া (৪টি জায়গায়), রাজমহেন্দ্রবরম (৫টি জায়গায়), নেল্লোর (৭টি জায়গায়) এবং কুর্নুল (৬টি জায়গায়)। মোট ৬৬টি জায়গায় এই পাইলট প্রকল্প শুরু হবে। এই জায়গাগুলো এমন এলাকা, যেখানে মশার উপদ্রব বেশি।

হাসপাতালের সঙ্গে সমন্বয়

শুধু সেন্সর আর ড্রোন নয়, এই প্রকল্পে হাসপাতালগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। প্রতিদিন হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া আর চিকুনগুনিয়ার কেসের তথ্য পাওয়া যাবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে মশার ‘হটস্পট’ চিহ্নিত করা হবে। তারপর সেই এলাকায় বিশেষভাবে ফগিং আর লার্ভা নির্মূলের পরিকল্পনা করা হবে।

কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?

অন্ধ্রপ্রদেশে বর্ষাকালে ডেঙ্গু আর ম্যালেরিয়ার মতো রোগ বেড়ে যায়। ২০২৪ সালে রাজ্যে ডেঙ্গুর ৫,৫৫৫টি কেস দেখা গেছে, যদিও এটা ২০২৩ সালের তুলনায় একটু কম। তবু এই রোগগুলোর হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে এই নতুন প্রযুক্তি একটা বড় পদক্ষেপ। এই সিস্টেম শুধু মশার উপদ্রব কমাবে না, পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের কাজের চাপ আর খরচও কমাবে।

আমাদের জন্য শিক্ষা

এই প্রকল্প (Ai Powered Smart Mosquito Surveillance System)শুধু অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য নয়, আমাদের সবার জন্য একটা দারুণ উদাহরণ। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে কীভাবে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করা যায়, তা এই SMoSS দেখিয়ে দিচ্ছে। এটা সফল হলে অন্য রাজ্যেও এমন উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। তবে এর পাশাপাশি আমাদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা, জমা জল ফেলে দেওয়া—এসব ছোট ছোট পদক্ষেপও মশার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বড় কাজে আসে।

তো, কী মনে হচ্ছে? মশার বিরুদ্ধে এআই-এর এই লড়াই কি আমাদের জীবনকে একটু সহজ করবে? অন্ধ্রপ্রদেশের এই প্রকল্পের ফলাফলের দিকে আমরা সবাই নজর রাখব।

🔔 সবসময় আপডেটেড থাকুন !!!

👉 আমাদের ফলো করুন:

📰 ট্রেন্ডিং খবর | 📢 জরুরি আপডেট | 💼 নতুন চাকরির সুযোগ


Discover more from

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Leave a Reply