Tulsidas Jayanti: ২০২৫ সালের জুলাই মাসে তুলসীদাস জয়ন্তি আসছে, যা হিন্দু ধর্মের একজন মহান কবি ও সাধক গোস্বামী তুলসীদাসের জন্মতিথি হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি শ্রাবণ মাসের শুক্ল পক্ষের সপ্তমী তিথিতে উদযাপিত হয়, এবং এবার এটি ৩১ জুলাই, ২০২৫ তারিখে পড়বে।
তুলসীদাস জয়ন্তি তাঁর অসামান্য ভক্তি ও সাহিত্যের মাধ্যমে ভগবান রামের গল্প জনগণের কাছে নিয়ে আসার জন্য উদযাপন করা হয়। চলুন, এই বিশেষ দিনটির গুরুত্ব ও তুলসীদাসের জীবন সম্পর্কে জানি।
Tulsidas Jayanti: তুলসীদাস কে ছিলেন?
গোস্বামী তুলসীদাস একজন বিখ্যাত হিন্দু সাধক ও কবি ছিলেন, যিনি ১৫৩২ সালে উত্তর প্রদেশের রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মহর্ষি বাল্মীকির পুনর্জন্ম বলে বিশ্বাস করা হয়, যিনি সংস্কৃত রামায়ণের রচয়িতা ছিলেন।
তুলসীদাস ভগবান রামের প্রতি গভীর ভক্তি ছিলেন এবং তিনি রামচরিতমানস নামক একটি মহাকাব্য রচনা করেন, যা আউড়ি ভাষায় লেখা হয়েছে।
এই গ্রন্থটি সাধারণ মানুষের জন্য রামের গল্পকে সহজ ও বোধগম্য করে তুলেছে। তিনি হনুমান চালিসার মতো প্রিয় ভক্তিগানও রচনা করেছিলেন, যা আজও লক্ষ লক্ষ মানুষের মুখে মুখে ঘোরে।
তুলসীদাস জয়ন্তি কবে এবং কীভাবে পালন করা হয় ?
২০২৫ সালে তুলসীদাস জয়ন্তি Tulsidas Jayanti ৩১ জুলাই, বুধবার দিন পালিত হবে। এই দিনে সকাল ৫:৪৪ থেকে পরের দিন সকাল ৭:৫৫ পর্যন্ত সপ্তমী তিথি থাকবে। এই দিনটি উদযাপনের জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি তুলসীদাসের জন্মদিন হিসেবে গণ্য করা হয়।
লোকেরা এই দিনে মন্দিরে গিয়ে রামচরিতমানস পড়েন এবং হনুমান জি ও রামের পূজা করেন। অনেকে অক্ষয় পাঠ বা সুন্দরকাণ্ড পঠনের আয়োজন করে। গরীব ও দরিদ্র মানুষের জন্য খাবার বিতরণ এবং কাপড় দান করাও এই দিনে একটি সাধারণ প্রথা। বৃদ্ধ ব্যক্তিদের আশীর্বাদ নেওয়া এবং রাম মন্ত্র জপ করাও অনেকের মধ্যে জনপ্রিয়।
তুলসীদাসের উত্তরাধিকার
তুলসীদাসের রচনা শুধু সাহিত্যের জন্য নয়, ভক্তি ও নৈতিকতার জন্যও পরিচিত। তিনি তাঁর জীবনের বেশিরভাগ সময় কাশী ও অযোধ্যায় কাটিয়েছিলেন, এবং কাশীতে তুলসীঘাট তাঁর নামে নামকরণ করা হয়েছে। তিনি সঙ্কটমোচন হনুমান মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেখানে তিনি হনুমানের দর্শন পেয়েছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়।
তাঁর দ্বারা রচিত দোহা এবং শ্লোক আজও আমাদের জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা দেয়। যেমন, “রাম নাম মণি দীপ ধরু জীহ দেহরি দ্বার, তুলসী ভীতর বাহেরহু, জৌ চাহসি উজিয়ার” বলে তিনি ভক্তিমূলক জীবনের গুরুত্ব বোঝান।
তুলসীদাস জয়ন্তি(Tulsidas Jayanti) কেন গুরুত্বপূর্ণ ?
Tulsidas Jayanti,তুলসীদাস জয়ন্তি আমাদের ভক্তি, সত্য এবং নৈতিকতার পথে হাঁটতে শেখায়। তিনি দেখিয়েছেন যে শুধুমাত্র ধর্মের প্রতি ভালোবাসা ও সমর্পণ দিয়ে কত বড় কাজ করা সম্ভব। এই দিনটি আমাদের তাঁর শিক্ষা মনে করিয়ে দেয় এবং আমাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে উৎসাহ দেয়।
যদি আপনি ভক্তি ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী হন, তুলসীদাস জয়ন্তি ২০২৫ একটি আদর্শ সময় হবে তাঁর জীবন ও কাজ সম্পর্কে আরও জানতে। এই দিনে রামচরিতমানস পড়ুন, মন্দিরে যান এবং তাঁর ভক্তির গল্প শেয়ার করুন।
🔔 সবসময় আপডেটেড থাকুন !!!
👉 আমাদের ফলো করুন:
📰 ট্রেন্ডিং খবর | 📢 জরুরি আপডেট | 💼 নতুন চাকরির সুযোগ
🟢 হোয়াটসঅ্যাপ | 🔵 টেলিগ্রাম
🔵 লিঙ্কডইন | 🔵 থ্রেড | 🔵 ফেসবুক | 🔵 ইনস্টাগ্রাম | 🔵 টাম্বলার

সোমেশ্বর চৌধুরী একজন অভিজ্ঞ চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ার, যান্ত্রিক প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ এবং প্রযুক্তি প্রেমী, যার ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা এবং পরামর্শে এক দশকেরও বেশি অভিজ্ঞতা রয়েছে। সোমেশ্বর একজন সক্রিয় ব্লগার, প্রশিক্ষক এবং ISHRAE এবং GREEN ADD+ এর মতো পেশাদার সংস্থার সদস্য। শিক্ষকতা বা পরামর্শ না দিলেও, তিনি ব্লগিং, সঙ্গীত এবং সবুজ প্রযুক্তি অন্বেষণ উপভোগ করেন।
Discover more from
Subscribe to get the latest posts sent to your email.